চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত হাফিজুর রহমান সুরুজ (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি রইস উদ্দিন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পেঁচিপাড়া গ্রামের মৃত ভাদু শেখের ছেলে।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ছাদে শুকাতে দেওয়া ককটেলের বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকেই তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। ককটেল বিস্ফোরণের আলামতও পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে গায়েব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সুরুজ আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি ককটেলের তৈরির কারিগর। ব্যবহারের জন্য অনেক দিন আগে তৈরি করা ককটেলগুলো রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল। শুকানোর পর সুরুজ ককটেলগুলো ব্যাগে ভরছিলেন। তখনই বিস্ফোরিত হয়। এতে তার মুখম-লসহ শরীর ঝলসে যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেকের অর্থোপেডিকস বিভাগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরুজ।
কিন্তু গত রোববার সকাল থেকেই তিনি ছাড়পত্র না নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। সে সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর বিশ্বাস। রামেক থেকে পালিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পাংশায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি রইস উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সুরুজ। বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে। সেখানেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ওসি আরো জানান, মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রিন্ট