রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত আরসিসি রাস্তা ধসে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের যোগসাজসে আরসিসি ঢালাই কাজে নির্ধারিত অনুপাত না মেনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া পরিমাণের চেয়ে রড কম দেওয়া হয়েছে। তাই নির্মাণের দশ মাস না যেতেই সড়ক ধসে গেছে। স্থানীয় জিয়াউল ও আলামিন নামের দুজন অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ মাস আগে রাস্তাটি যেনতেনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সে সময় কাজে অনিয়ম হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে কেউ কোন কথা বলেনি। ফলে খালে পানি না থাকলেও গত ১৪/১৫ দিন আগে রাস্তাটি রাতের বেলায় হঠাৎ করে ধসে যায়। এতে স্কুল ও গোরস্থানগামী লোকজনকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
পৌরসভার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ রেসপন্স রিকভারি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি রাস্তার মধ্যে একটি পৌরসভার খালের তীরবর্তী কেশবপুর ব্রিজ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত ৭০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করেন মেসার্স একে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তা শেষ করে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তা নির্মাণকাজে সিডিউল অনুযায়ী ঢালায়ের মিশ্রণ করা হয়নি। খাঁচা নির্মাণে রডের পরিমাণ কম দেওয়া হয়েছে।
কোথাও জয়েনিং বা মেচিংবারে রড ব্যবহার করা হয়নি। আবার বেশ কিছু জায়গায় ঢালাইয়ের পুরুত্ব (থিকনেস) ৫ ইঞ্চির কম দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ঠিকাদার আবুল খায়ের বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। খালের মাটি সরে যাওয়ায় সড়ক ধসে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা সরজমিনে তদন্ত করে গেছেন। তারা প্রকল্প অফিসে তদন্ত রিপোর্ট দেবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট