গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহসিন উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আলাউদ্দিন ও উপজেলা প্রকৌশলী এস এম জাহিদুল ইসলাম বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অবশেষে জনস্বার্থে দুই সচেতন ব্যক্তি, কে এম সাইফুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে তদন্তের আবেদন করেছেন।
এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা সাবেক সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন প্রকল্প ও বরাদ্দ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা এই অর্থ দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, কৃষিজমি কিনেছেন এবং ব্যাংকে জমা রেখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অনিয়মের মধ্যে রয়েছে: জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খানের পার্সোনাল প্রপার্টিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ব্রিজ নির্মাণ, ভূমিহীনদের জন্য বিতরণ করা মুজিব বর্ষের ঘরে নিম্নমানের ইট ব্যবহার, ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে এডিপির বরাদ্দ আত্মসাৎ এবং অন্যের জমির ওপর রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি।
এছাড়াও, পিআইও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধূমপান ও মাদক সেবন এবং ২০২২ সালে এক নারীর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী এস এম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান জানান, তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্তের জন্য ঢাকা হেড অফিসে পাঠানো হবে। তদন্তের অনুমতি পাওয়া গেলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউএনও মহসিন উদ্দিন অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট দাবি করেছেন, প্রকৌশলী এস এম জাহিদুল ইসলামও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পিআইও মোঃ আলাউদ্দিনের ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় মাটি কাটার অপরাধে ৪ জনের কারাদণ্ড
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট