যশোরের ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের যশোর জেলা প্রতিনিধি এ এইচ এম জিয়াউল হক ও ক্যামেরা পারসন শরীফ খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় যশোরবাসী সমন্বয় কমিটির ব্যানারে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের গডফাদার, মিথ্যা মামলাবাজ এএসপি ফখরুল হাসান, বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, যশোর জেলা শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন ও তাদের পোষ্য যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রান্ত সঙ্গবদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। সাংবাদিকদের রক্তাক্ত জখম করে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দশ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
যশোরবাসী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক তৌহিদজামান, নূর ইমাম বাবুল, সমাজ জাগরণে গণমত- সজাগ এর সহ সভাপতি গালিব হাসান পিল্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী নূর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, যুব অধিকার পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক মিলন শেখ, ইমদাদ হোসাইন, আবু তারেক প্রমুখ।
উল্লেখ্য ঝিকরগাছার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয়দের একাধিক জমি দখল, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার ছেলে কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ফখরুল ইসলাম- এমন অভিযোগ পেয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়িতে যান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের যশোর জেলা প্রতিনিধি এ এইচ এম জিয়াউল হক ও ক্যামেরা পারসন শরীফ খান।
ভিডিও ফুটেজ নেওয়া শুরু করলে একাধিক মামলার আসামি যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে অভি ইসলাম প্রান্ত, কৃষ্ণনগর এলাকার মান্দার আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই এলাকার রহমানসহ চার পাঁচ জন লাঠি, লোহার রড দিয়ে জিয়াউল হক ও শরীফ খানের উপর হামলা ও মারধর করে ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তাদের আটকে রাখে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
প্রিন্ট