কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বভার ব্যবসায়ীদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে যশোর ক্লাব মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নবনির্বাচিত পর্ষদ সদস্যদের পরিচিতি ও কার্যভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের হাতে চেম্বারের দায়িত্বভার দেওয়া হয়।
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নবনির্বাচিত পর্ষদে রয়েছেন সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, সহ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সুজা, জাহিদ হাসান টুকুন ও মঞ্জুর হোসেন মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক মকসেদ আলী মুনলাইট ও এজাজ উদ্দিন টিপু, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ শাহজাহান আলী খোকন। এছাড়া ১২ জন নির্বাহী সদস্য রয়েছেন।
যশোর চেম্বারের বিদায়ী প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ। এছাড়া বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল, সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার।
চেম্বারের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান বলেন, ‘যশোর ব্যবসায়ীক সম্ভাবনাময় শহর। কিন্তু এতদিন চেম্বার অকার্যকর থাকায় বিনিয়োগকারীরা এই শহরে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হননি। এখন চেম্বারের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য এগিয়ে নিতে হবে।’
ব্যবসায়ী চিন্ময় সাহা তার বক্তব্যে বলেন, ‘এক যুগ পরে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্যবসায়ীদের হাতে এলো। বর্তমান কমিটি যেন দুই বছর পরে একটি কার্যকরী নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করে।’
যশোর চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব ও আদালতে মামলা থাকার কারণে গত এক যুগ ধরে যশোর চেম্বারের নির্বাচন হয়নি। ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল যশোর চেম্বারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলা বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়ী হয়। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ পন্থী ব্যবসায়ীদের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসনের একজন প্রশাসক।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত এক পরিপত্রে ১৯ সদস্যর কমিটির পদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গতকাল যশোর চেম্বারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন অন্য কোনো প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়।
প্রিন্ট