ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

‘শাটডাউনের’ বিষয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের সুপারিশের বিষয়ে সরকার কী ভাবছে বা কী পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, উনারা (জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি) সুপারিশ দিয়েছেন। আসলে আমাদের চারপাশে তো করোনা বেড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি এবং প্রতিদিনই আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি যে এটা বেড়ে যাচ্ছে।

৬ হাজার প্লাস হয়ে গেছে আজকে। তো জাতীয় পরামর্শক কমিটি যেটা দিয়েছে এটা সরকারের কাছে এসেছে। সরকার অবশ্যই এটাকে মূল্যায়ন করবে। আমরা দেখছি এটাকে কীভাবে আরও কঠোরভাবে এই পরিসরটিকে আরও বাড়াতে পারি তাদের পরামর্শগুলো দেখে।

তিনি আরও বলেন, সে ধরনের একটা প্রিপারেশন (প্রস্তুতি) ইতোমধ্যে আমাদের আছে। আমরা হয়তো একটি সিদ্ধান্ত নেব।

জাতীয় পরামর্শক কমিটির এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, নাকি আরও পর্যবেক্ষণ করে আলোচনার পর মন্ত্রিপরিষদে পরামর্শ পাঠানো হবে- সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাবিনেট সেক্রেটারির (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) মাধ্যমে চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকেন।

কী পরামর্শ হয়েছে সেই বিষয়গুলো থাকে। তবে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যা যা করা লাগে সরকারের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা ইতোমধ্যে মার্চে যখন এটা (করোনা) বেড়ে গেল তখনও আমরা কিছু ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) নিয়েছি এবং সেটা আমরা কমিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যেভাবে এটা (করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) বেড়ে গিয়েছিল, ওখানে স্থানীয়ভাবে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে কিন্তু এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কমে গেছে, রাজশাহী কমে গেছে। আমাদের চারপাশে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি। এখন ঢাকার যে বিষয়টি সেটা আছে, দেশের অন্যান্য জায়গায় যেখানে বেড়ে যাচ্ছে সেগুলো চিন্তাভাবনায় আছে। অর্থাৎ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেটাই নেব।

জাতীয় কমিটির এই সুপারিশের বিষয়ে সরকার কবে সিদ্ধান্ত দেবে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে অনেক তথ্য আছে। সরকার ইতোমধ্যেই চিন্তাভাবনা করছে। চিন্তাভাবনার ফলাফল হচ্ছে, আমরা যে ঢাকার চারপাশে ৭টি জেলায় যে বিধিনিষেধ দিয়েছি সেগুলো কিন্তু আমরা ইমপ্লিমেন্ট হিসেবে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই যেখানে যেখানে সংক্রমণ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে এবং সেখানে সেভাবে করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আরও কিছু চিন্তাভাবনা যেটা বাস, ট্রেন, নৌপরিবহণ- এগুলো আমরা ঢাকা থেকে চলাচল বন্ধ করেছি। আমরা এই ব্যবস্থা একটার পর একটা নিচ্ছি।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনো সময় সরকার আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রােগের বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতােমধ্যেই রােগের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশাের্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রােগ প্রতিরােধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযােগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলােচনা করা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘Shutdown’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘Shutdown’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহণ ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।

গেল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছিলেন, আমরা আপাতত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখছি।  যদি সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি এবং ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়, তা হলে শুরুতে ঢাকাকে লকডাউনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

‘শাটডাউনের’ বিষয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের সুপারিশের বিষয়ে সরকার কী ভাবছে বা কী পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, উনারা (জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি) সুপারিশ দিয়েছেন। আসলে আমাদের চারপাশে তো করোনা বেড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি এবং প্রতিদিনই আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি যে এটা বেড়ে যাচ্ছে।

৬ হাজার প্লাস হয়ে গেছে আজকে। তো জাতীয় পরামর্শক কমিটি যেটা দিয়েছে এটা সরকারের কাছে এসেছে। সরকার অবশ্যই এটাকে মূল্যায়ন করবে। আমরা দেখছি এটাকে কীভাবে আরও কঠোরভাবে এই পরিসরটিকে আরও বাড়াতে পারি তাদের পরামর্শগুলো দেখে।

তিনি আরও বলেন, সে ধরনের একটা প্রিপারেশন (প্রস্তুতি) ইতোমধ্যে আমাদের আছে। আমরা হয়তো একটি সিদ্ধান্ত নেব।

জাতীয় পরামর্শক কমিটির এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, নাকি আরও পর্যবেক্ষণ করে আলোচনার পর মন্ত্রিপরিষদে পরামর্শ পাঠানো হবে- সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাবিনেট সেক্রেটারির (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) মাধ্যমে চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকেন।

কী পরামর্শ হয়েছে সেই বিষয়গুলো থাকে। তবে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যা যা করা লাগে সরকারের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা ইতোমধ্যে মার্চে যখন এটা (করোনা) বেড়ে গেল তখনও আমরা কিছু ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) নিয়েছি এবং সেটা আমরা কমিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যেভাবে এটা (করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) বেড়ে গিয়েছিল, ওখানে স্থানীয়ভাবে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে কিন্তু এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কমে গেছে, রাজশাহী কমে গেছে। আমাদের চারপাশে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি। এখন ঢাকার যে বিষয়টি সেটা আছে, দেশের অন্যান্য জায়গায় যেখানে বেড়ে যাচ্ছে সেগুলো চিন্তাভাবনায় আছে। অর্থাৎ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেটাই নেব।

জাতীয় কমিটির এই সুপারিশের বিষয়ে সরকার কবে সিদ্ধান্ত দেবে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে অনেক তথ্য আছে। সরকার ইতোমধ্যেই চিন্তাভাবনা করছে। চিন্তাভাবনার ফলাফল হচ্ছে, আমরা যে ঢাকার চারপাশে ৭টি জেলায় যে বিধিনিষেধ দিয়েছি সেগুলো কিন্তু আমরা ইমপ্লিমেন্ট হিসেবে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই যেখানে যেখানে সংক্রমণ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে এবং সেখানে সেভাবে করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আরও কিছু চিন্তাভাবনা যেটা বাস, ট্রেন, নৌপরিবহণ- এগুলো আমরা ঢাকা থেকে চলাচল বন্ধ করেছি। আমরা এই ব্যবস্থা একটার পর একটা নিচ্ছি।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনো সময় সরকার আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রােগের বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতােমধ্যেই রােগের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশাের্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রােগ প্রতিরােধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযােগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলােচনা করা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘Shutdown’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘Shutdown’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহণ ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।

গেল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছিলেন, আমরা আপাতত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখছি।  যদি সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি এবং ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়, তা হলে শুরুতে ঢাকাকে লকডাউনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।