মোঃ জিয়াউর রহমান দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া আদালতে তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালতের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই ঘটনাটি ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে টাকা নিয়ে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর পর ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের ওপর হামলা করেন। এতে রাকিব ও রাসেল নামের দুই কর্মচারী আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে বিএনপির নেতা মহসিনকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করেন আদালতের কর্মচারীরা। পরে মহসিনের পরিচিতজনরা এসে কর্মচারীদের মারধর করেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয় আদালত পুলিশ।
আদালতের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মহসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাবরক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে এসে টাকা নিয়ে তর্কে জড়ান। এ সময় মহসিনের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের মারধর করেন। এতে দুই কর্মচারী আহত হন। মহসিনকে আদালত পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, “তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালত পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, “আমি বর্তমানে একটি মিটিংয়ে আছি, এই ব্যাপারে পরে কথা বলব।”
প্রিন্ট