ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভাঙ্গায় বিএনপি’র সভায় আ’লীগ নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেওয়ায় দুই গ্রুপে হাতাহাতি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৭ নভেম্বর নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করায় দুইপক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ মিয়া।

 

এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের খন্দকার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায়। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ‘রাজনৈতিক আমলনামা’ নামক একটি ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।

 

শনিবার দুপুরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভা ডাকেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সৈনিকেরা। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রশ্ন করেন এরা কারা? এরাই ১৪ থেকে ১৫ বছর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিএনপির লোকজনকে ডিস্টার্ব করেছে। আজ কেন এরা মিটিংয়ে এসেছে? কারা এদের দাওয়াত দিয়েছে? এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

 

তার মধ্যে সেলিম খন্দকারের আস্থাভাজন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া বলেন, আমি দাওয়াত দিয়েছি আপনার কী? প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে বের হয়ে যান।

 

তখন বিএনপি নেতা সিরাজ মিয়া বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ বা নিক্সন চৌধুরীর রাজনীতি আমরা করি না, তাহলে কেন বিএনপির মিটিংয়ে এরা উপস্থিত থাকবে?

 

একপর্যায়ে আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া রেগে বলেন, তাহলে আমি চলে গেলাম, যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আপনারা মিটিং করবেন সেখানে আমি থাকতে পারি না। তখন সেলিম খন্দকারের লোকজন সিরাজ মিয়াকে ঠেলা-ধাক্কা দেয়। তখন সিরাজ মিয়া পড়ে গিয়ে আহত হন। আহত সিরাজ মিয়াকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফজলের সোবহান শামীম বলেন, নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে।

 

 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা পৌর জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান পান্না বলেন, যাদের দ্বারা বিএনপি নির্যাতিত তাদের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যই খারাপ কাজ, এটা আমরা আশা করি না। আমি এর নিন্দা জানাই। বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন। তিনি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

error: Content is protected !!

ভাঙ্গায় বিএনপি’র সভায় আ’লীগ নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেওয়ায় দুই গ্রুপে হাতাহাতি

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৭ নভেম্বর নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করায় দুইপক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ মিয়া।

 

এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের খন্দকার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায়। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ‘রাজনৈতিক আমলনামা’ নামক একটি ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।

 

শনিবার দুপুরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভা ডাকেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সৈনিকেরা। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রশ্ন করেন এরা কারা? এরাই ১৪ থেকে ১৫ বছর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিএনপির লোকজনকে ডিস্টার্ব করেছে। আজ কেন এরা মিটিংয়ে এসেছে? কারা এদের দাওয়াত দিয়েছে? এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

 

তার মধ্যে সেলিম খন্দকারের আস্থাভাজন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া বলেন, আমি দাওয়াত দিয়েছি আপনার কী? প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে বের হয়ে যান।

 

তখন বিএনপি নেতা সিরাজ মিয়া বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ বা নিক্সন চৌধুরীর রাজনীতি আমরা করি না, তাহলে কেন বিএনপির মিটিংয়ে এরা উপস্থিত থাকবে?

 

একপর্যায়ে আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া রেগে বলেন, তাহলে আমি চলে গেলাম, যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আপনারা মিটিং করবেন সেখানে আমি থাকতে পারি না। তখন সেলিম খন্দকারের লোকজন সিরাজ মিয়াকে ঠেলা-ধাক্কা দেয়। তখন সিরাজ মিয়া পড়ে গিয়ে আহত হন। আহত সিরাজ মিয়াকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফজলের সোবহান শামীম বলেন, নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে।

 

 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা পৌর জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান পান্না বলেন, যাদের দ্বারা বিএনপি নির্যাতিত তাদের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যই খারাপ কাজ, এটা আমরা আশা করি না। আমি এর নিন্দা জানাই। বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন। তিনি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


প্রিন্ট