নাটোরের লালপুর উপজেলার কচুয়া কাগিরপাড়া গ্রামের মো. হাশেম আলী (৬৫) এখন ‘লাশ টানা হাশেম’ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি লালপুর, বাগাতিপাড়া ও বড়াইগ্রাম থানার পাঁচ হাজারেরও বেশি লাশ বহন করেছেন।
হাশেম আলী জানান, তিনি ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন এবং যৌতুকের টাকায় প্রথমে একটি ভ্যানগাড়ি কিনে লাশ টানার কাজ শুরু করেন। চাকরি, সংসার ও লাশ বহনের এই কঠিন জীবনে তার জীবন একটি অন্য রূপ নেয়।
২০২২ সালে একটি দুর্ঘটনায় পায়ে গুরুতর আঘাত পান হাশেম। তার পায়ের হাড় ভেঙে যায় এবং অস্ত্রোপচার করার পর থেকে তার জীবন সংকটময় হয়ে ওঠে। চিকিৎসা ও সংসারের খরচ যোগাতে হাশেম তার জমি ও গবাদি পশু বিক্রি করতে বাধ্য হন।
বর্তমানে তার স্ত্রী অসুস্থ এবং তিন মেয়ে ও দুই ছেলের পরিবার আলাদা। দুর্ঘটনার পর মাঝে মাঝে ছেলেরা কিছু সহায়তা করেছে, তবে হাশেম এখন চিকিৎসার অভাবে অসহায়।
হাশেম আলী তার চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান রাজু তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
হাশেম আলী দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লাশ টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন, কিন্তু এখন নিজেই জীবন্ত লাশ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। তার এই অসহায় অবস্থায় সমাজের সহযোগিতা তার জন্য একটি নতুন আশার আলো হতে পারে।
প্রিন্ট