বহুল আলোচনা-সমালোচনার পরে ছাত্রলীগের পদ হারালেন সেই নেতা। শনিবার ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষতির এক পত্রে জানানো হয় এই তথ্য।
অভিযোগ উঠে সদ্য ঘোষিত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছাত্রদলের এক নেতার জায়গা হয়েছে।
রায়হান রনি নামের ওই নেতা একই উপজেলার পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক পদে থেকেই পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন।
এমন আলোচনা ও সমালোচনার মুখে শনিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশীদ রিয়ান ও সাধারন সম্পাদক মো.ফাহিম আহমেদের সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে রায়হান রনিকে আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
রায়হান রনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার আলফাডাঙ্গা মৌজার বাসিন্দা। পড়াশোনা করেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে গত ২৩ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান ২১ সদস্যবিশিষ্ট আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। ওই কমিটির একজন আহবায়ক, নয়জন যুগ্ম আহবায়ক, একজন সদস্যসচিব এবং বাকি সবাই সদস্য। ঘোষিত ওই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছে রায়হান রনির নাম।
অপর দিকে ১২ জুন আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এর নাম ঘোষনা করে আংশিক কমিটি অনুমোদন করা হয়। ঘোষিত ওই পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছে মোহাম্মদ রায়হান রনির নাম।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছাত্রদলের রায়হান রনি ও ছাত্রলীগের মোহাম্মদ রায়হান রনি একই ব্যক্তি।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশীদ রিয়ান এই প্রতিবেদককে জানান, কোন বিতর্কিত ব্যক্তি ছাত্রলীগ করতে পারবে না। যেহেতু তার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে, সে কারনেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোন ব্যক্তির কারণে ছাত্রলীগ কলঙ্কিত হোক সেটা আমরা চাই না।
প্রিন্ট