রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির বলরামপুর গ্রামের সুফিয়া (৩৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার ১৮ জুন ভোররাতে ঘটনার পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। শরীরে স্যালাইন চলছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী মজিদ মন্ডল গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে ঘটনার নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূর সহোদর ভাই জীবন হাসান জানান, ভগ্নিপতি মজিদ মন্ডল ও তার (মজিদ মন্ডল) বড় ভাই রশিদ মন্ডলের দুই পরিবারের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
বোন সুফিয়া ঝগড়া-বিবাদ পছন্দ করে না। সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে বলায় ভগ্নিপতি মজিদ মন্ডল স্ত্রী সুফিয়ার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। সুফিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিষপান করিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ করেন জীবন হাসান।
ভগ্নিপতি মজিদ মন্ডলের গা ঢাকা দেওয়ার নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পাংশা হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওয়াশ করার পর সুফিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাযুক্ত না-কি আশঙ্কামুক্ত সে বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
এদিকে, শুক্রবার সরেজমিন বলরামপুর গ্রামে গেলে মজিদ মন্ডল কিংবা মজিদ মন্ডলের পিতা জলিল মন্ডলের দেখা মেলেনি। তবে তারা অন্যত্র অবস্থান করে রোগীর হাল-হকীকত জানতে তাদের ঘনিষ্ঠ রবিউল ইসলাম, আজাহার, হাসু সরদার ও মাহতাব হোসেনকে পাংশা হাসপাতালে পাঠায় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। মাহতাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রিন্ট