ফরিদপুরের মধুখালী বাজার স্টান্ড ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের পাশে সরকারী খাস -খতিয়ানের সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না একটি প্রভাবশালী মহল। কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান করা হলেও অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় দোকান করে ব্যবসা করছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতা ব্যবহার করে খাবার হোটেল মুদি দোকান ফলের দোকানসহ বিভিন্ন প্রকার দোকান গড়ে উঠেছে।
২০২৩ সালের আগষ্টের ২৩ তারিখে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও বাজার কমিটি পক্ষ থেকে অনুরোধ ক্রমে মধুখালী পৌর ভূমি অফিস ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আদেল শেখের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ করা হয়। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জায়গা খালি করার নির্দেশ করা হলেও কোন প্রকার তোয়াক্কা করছে না।
অবৈধ দোকান মালিকেরা দোকান মালিক রেজা বলেন, আমার দোকান এর আগেও ভেঙে ফেলা হয়েছিল আমি আবার ও খাবার হোটেল করছি। ৫ আগষ্টের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের টাকা দিতাম এখন কাউকে টাকা দেয় না।
এ বিষয়ে খাবার হোটেল মালিক রাজিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এর আগেও আমাদের দোকান ভেঙে ফেলছিল আমরা আবারো দোকান করছি ব্যবসা করছি; যদি ভেঙে ফেলে তাহলে কিছু করার নাই।
বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাঃ নুরুদ্দিন সরকারী জায়গায় বেশ আটসাট করে দোকান করে বসে আছে । তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মসজিদ কমিটিতে মাসিক টাকা দেয়।
এবিষয়ে মধুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ এরফানুর রহমান বলেন, ইউ এনও স্যার ঢাকা গেছে আসলে বিষয়টি নিয়ে বসবো এবং উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হলে স্যারে সাথে আলাপ করে করতে হবে।
প্রিন্ট