ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুরে ৬ জেলেকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত Logo রাজশাহীতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ.পি.ভি.) ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo প্রবাসীকে হত্যাঃ ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রীর যাবজ্জীবন, খালাস ৪ Logo রাজ্যজুড়ে বিএসইউয়ের ‘প্রয়াস মক টেস্ট’ Logo মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র; না টর্চার সেল ! Logo শিবগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান : অবরুদ্ধ ২ ম্যাজিস্ট্রেট Logo দৌলতপুর কৃষক দল নেতার মৃত্যুবার্ষিকী কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গুলি Logo লালপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ Logo বোয়ালমারীতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo মধুখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ড্রেজার মেশিন জব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীর তানোরে বাড়ছে সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকগণ এ বছরের সর্দি-জ্বর ও কাশির তীব্রতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে সর্দি-জ্বর দেখা দিলেও, এবার কাশির তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে।

 

উপজেলার সর্বত্রই জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে বহু রোগী জ্বর ও সর্দি নিয়ে আসছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এবং চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

 

চিকিৎসকরা জানান, শিশু রোগীদের মধ্যে পাঁচ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, যেমন সর্দি-জ্বর, শরীরে র‍্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কামারগাঁ এলাকার ১১ মাস বয়সি শিশু রায়হান, যার মা জুলেখা বেগম জানিয়েছেন, বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।

 

জিওল গ্রামের শাকিল আলী জানান, তিনি চার দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। দোকান থেকে ওষুধ কিনে কোন উপকার না পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন।

 

এখন তানোরের ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে কাশি ভোগাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সর্দি ও জ্বর সেরে যাওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং রোগীরা ঠিকমতো খেতে পারছেন না।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বানাবাস হাঁসদাক জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিন রোগী বাড়ছে এবং হাসপাতাল সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুরে ৬ জেলেকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

error: Content is protected !!

রাজশাহীর তানোরে বাড়ছে সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকগণ এ বছরের সর্দি-জ্বর ও কাশির তীব্রতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে সর্দি-জ্বর দেখা দিলেও, এবার কাশির তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে।

 

উপজেলার সর্বত্রই জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে বহু রোগী জ্বর ও সর্দি নিয়ে আসছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এবং চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

 

চিকিৎসকরা জানান, শিশু রোগীদের মধ্যে পাঁচ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, যেমন সর্দি-জ্বর, শরীরে র‍্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কামারগাঁ এলাকার ১১ মাস বয়সি শিশু রায়হান, যার মা জুলেখা বেগম জানিয়েছেন, বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।

 

জিওল গ্রামের শাকিল আলী জানান, তিনি চার দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। দোকান থেকে ওষুধ কিনে কোন উপকার না পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন।

 

এখন তানোরের ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে কাশি ভোগাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সর্দি ও জ্বর সেরে যাওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং রোগীরা ঠিকমতো খেতে পারছেন না।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বানাবাস হাঁসদাক জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিন রোগী বাড়ছে এবং হাসপাতাল সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।