রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকগণ এ বছরের সর্দি-জ্বর ও কাশির তীব্রতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে সর্দি-জ্বর দেখা দিলেও, এবার কাশির তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার সর্বত্রই জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে বহু রোগী জ্বর ও সর্দি নিয়ে আসছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এবং চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, শিশু রোগীদের মধ্যে পাঁচ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, যেমন সর্দি-জ্বর, শরীরে র্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কামারগাঁ এলাকার ১১ মাস বয়সি শিশু রায়হান, যার মা জুলেখা বেগম জানিয়েছেন, বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।
জিওল গ্রামের শাকিল আলী জানান, তিনি চার দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। দোকান থেকে ওষুধ কিনে কোন উপকার না পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন।
এখন তানোরের ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে কাশি ভোগাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সর্দি ও জ্বর সেরে যাওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং রোগীরা ঠিকমতো খেতে পারছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বানাবাস হাঁসদাক জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিন রোগী বাড়ছে এবং হাসপাতাল সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রিন্ট