ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পন্থী ঠিকাদার এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্ক ও প্রান্তিক আবাসিক প্রকল্পে চলছে লুটপাটের মহাৎসব।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের সরকার পতনের পর পরই এসব প্রকল্পের আওয়ামী লীগ পন্থী ঠিকাদারদের বিল আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারিকের নেতৃত্বে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। ইয়াহিয়া মিলু নামে একজন ব্যক্তি যুবলীগ নেতা রনি’র পাওয়ার অফ এটনি নিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন, যিনি নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয় দেন।
নগরীর ভদ্রা এলাকায় ১৯৮২ সালে গড়ে তোলা পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বদনাম নিয়ে ছিল। তবে সংস্কারের লক্ষ্যে ৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করা হয়, কিন্তু বর্তমানে কাজের অগ্রগতি বন্ধ রয়েছে।
প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালে শুরু হলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২২ সালে। এরপর মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্রকল্পের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। যুবলীগ নেতা রনি’র রিথিন এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে অন্যান্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বোটসহ বিভিন্ন ধরনের রাইড স্থাপন করবে।
অভিযোগ উঠেছে, পার্কের উন্নয়নে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে এবং ২০% কমিশন দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তারিকের বিরুদ্ধে পূর্বেও অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের বাইরে রয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিপুল অর্থ ব্যয়ে সংস্কার হওয়া পার্কটিতে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৭২ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার প্রকল্পের মূল ঠিকাদার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি এবং মিলু ছিলেন পার্টনার। বিল উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন বক্তব্য দেননি।
আরডিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো: রহমতুল্লাহ বলেন, “পাওয়ার অফ এটনি নিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল, এখন চলমান আছে।”
এ বিষয়ে জানতে আরডিএ’র চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট