দুর্যোগ মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আরও উন্নত করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরি এবং ভূমিকম্প কিংবা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলায় দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস টেনিং গ্রাউন্ডে গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আগামীতে আরও উন্নয়ন করতে আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে। সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবী ও আধুনিক প্রযুক্তি গড়ে তুলবো।”
উল্লেখযোগ্য, দেশের ৬০ থেকে ৭০টি জেলায় মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে প্রোটিনের অভাবে রয়েছে। ফারুক ই আজম জানান, “আমরা তাদের প্রোটিনের অধিকার রক্ষায় কাজ করছি, এটাকেও দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করছি। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে এই জনগণকে দারিদ্র্য সীমার নিচ থেকে তোলা যায়।”
পরে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে অনুসন্ধান উদ্ধার অভিযানের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে ১১টি এরিয়াল প্ল্যাটফর্ম ল্যাডার অত্যাধুনিক গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল মো. নাহিদ আজগর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
- আরও পড়ুনঃ লালপুরে পৃথক অভিযানে আটক ৪
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য পেশাগত দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ও সমন্বিত জরুরি সাড়া প্রদান পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সম্পদহানি হ্রাস এবং জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুমোদিত হয়, এবং প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬.৮৯ কোটি টাকা।
প্রিন্ট