ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগেশ্বরী বাজার চড়া, ৬০ টাকার নিচে নেই সবজি

বাজারে উঠতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের শাক-সবজি। তবুও কমছে না দাম। এদিকে আলুর দাম বাড়লেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। লাগামহীন দেশের শাক-সবজির বাজার।
শুক্রবার নাগেশ্বরী উপজেলা পৌর বাজার, বড় বাজার এবং কলেজ মোর  কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হাতে গোনা দুই-একটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে শাক-সবজির দাম।
নাগেশ্বরী  বড় বাজারের নিয়মিত সবজি বিক্রেতা হাসনাবাদ ইউনিয়নের রিয়াজুল ও পৌর বাজারের মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাতেগোনা দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই নেই ৬০ টাকার নিচে। বেশির ভাগেরই দাম ৭০/৮০ টাকা বা তার ওপরে।
তবে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসা শুরু হলে দাম কমবে জানিয়ে নাগেশ্বরী বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা ছকির মিয়া বলেন, প্রতি বছরের এ সময়টায় সবজির দাম চড়া থাকে। বাজারে সবজির দামের যে অবস্থা, তাতে কমে গেছে বেচাবিক্রি।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, লতি ১০০ টাকা,  ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা ও পটোল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ২৫০-২৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৮০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
দামে পিছিয়ে নেই শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচ চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০-২৮০ টাকা দরে। বিভিন্ন
বাজারে কাঁচা মরিচ কিনছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কমেছে মরিচের সরবরাহ। এতে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী।
 এ ঊর্ধ্বমুখী দামে নাজেহাল সাধারণ ভোক্তারা। তারা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জাহিদ  নামে এক ক্রেতা বলেন, একের পর পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আজ ডিমের দাম বাড়ে তো কাল সবজির। এখন আবার বাড়ছে শাকের দাম। বাজারে কোনো শৃঙ্খলা নেই। যে যার মতো পারছে লুটে নিচ্ছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নাগেশ্বরী বাজার চড়া, ৬০ টাকার নিচে নেই সবজি

আপডেট টাইম : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
জেলাল আহম্মদ রানা, কুড়িগ্রাম (নাগেশ্বরী) প্রতিনিধি :
বাজারে উঠতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের শাক-সবজি। তবুও কমছে না দাম। এদিকে আলুর দাম বাড়লেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। লাগামহীন দেশের শাক-সবজির বাজার।
শুক্রবার নাগেশ্বরী উপজেলা পৌর বাজার, বড় বাজার এবং কলেজ মোর  কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হাতে গোনা দুই-একটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে শাক-সবজির দাম।
নাগেশ্বরী  বড় বাজারের নিয়মিত সবজি বিক্রেতা হাসনাবাদ ইউনিয়নের রিয়াজুল ও পৌর বাজারের মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাতেগোনা দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই নেই ৬০ টাকার নিচে। বেশির ভাগেরই দাম ৭০/৮০ টাকা বা তার ওপরে।
তবে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসা শুরু হলে দাম কমবে জানিয়ে নাগেশ্বরী বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা ছকির মিয়া বলেন, প্রতি বছরের এ সময়টায় সবজির দাম চড়া থাকে। বাজারে সবজির দামের যে অবস্থা, তাতে কমে গেছে বেচাবিক্রি।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, লতি ১০০ টাকা,  ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা ও পটোল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ২৫০-২৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৮০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
দামে পিছিয়ে নেই শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচ চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০-২৮০ টাকা দরে। বিভিন্ন
বাজারে কাঁচা মরিচ কিনছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কমেছে মরিচের সরবরাহ। এতে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী।
 এ ঊর্ধ্বমুখী দামে নাজেহাল সাধারণ ভোক্তারা। তারা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জাহিদ  নামে এক ক্রেতা বলেন, একের পর পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আজ ডিমের দাম বাড়ে তো কাল সবজির। এখন আবার বাড়ছে শাকের দাম। বাজারে কোনো শৃঙ্খলা নেই। যে যার মতো পারছে লুটে নিচ্ছে।

প্রিন্ট