ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর

জালিয়াতি করে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আত্নসাতে দুদকের চার্জশিট

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোঃ আল আমিন। প্রায় ৩ বছর পর সম্প্রতি এই চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে শিক্ষাবোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় চার্জশিটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম, হাইকোর্ট মোড়ের শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিস পাড়ার নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক গাজী নূর ইসলাম, শহরের জামে মসজিদ লেন এলাকার প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক ইকবাল হোসেন ও স্ত্রী রুপালী খাতুন, নতুন উপশহর ই ব্লক এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলাম, একই এলাকার সোনেক্স ইন্টারন্যাশনালের মালিক রকিব মোস্তফা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন অফিসার আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জুলফিকার আলী, নিম্নমান সহকারী (চেক ডেসপাসকারী) মিজানুর রহমান ও সাধারণ কর্মচারী (চেক ডেসপাসকারী) কবির হোসেন।   ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর আত্মসাতের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়েছিল।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর ওই বছরের ১৮ অক্টোবর মামলা করে। যার নম্বর ০১/২০২১। তদন্তে মোট ১১ জন আসামীর বিরুদ্ধে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি  জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩  হাজার ৩ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক যশোরের উপ- পরিচালক আল আমিন গত ৮ অক্টোবর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিট নম্বর ১২। দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন জানান, তদন্তকালে দেখা যায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের প্রায় ২৫টি হিসাব সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যশোরে পরিচালিত হয়। ২০১৭- ১৮ অর্থবছর হতে ২০২১- ২২ অর্থবছর পর্যন্ত (হিসাব নং ২৩২৩২৪০০০০০২৪) ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা প্রদানের পর ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৬ টাকার স্থলে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৭ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
তদন্তকালে দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ৩৮টি চেকের মধ্যে টিএ/ডিএ বিল বাবদ আসামি আব্দুস সালামের নামে ইস্যুকৃত চেক ৩টি, সাধারণ বিল বাবদ সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত চেক ১টি, মিম প্রিন্টিং প্রেসের নামে ৩টি, মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেস এর নামে ২টি, নিহার প্রিন্টিং প্রেস এর নামে ১টি, সবুজ প্রিন্টিং প্রেসের নামে ১টি, শরিফ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং এর নামে ১টি, সানিয়া ইলেক্ট্রনিক্স এর নামে ১টি, নূর এন্টার প্রাইজের নামে ৮টি, প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেস নামে ৩টি, শাহী লাল স্টোরের নামে ১টি, দেশ প্রিন্টার্স নামে ১টি, সেকশন অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদের নামে ১টি, অর্পানেটের নামে ১টি, আয়কর কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত চেক ৪টি ও ভ্যাট কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত ৬টি চেক রয়েছে।
আসামি আব্দুস সালাম ২ হাজার ৮৭০ টাকার একটি চেক ও সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের রিসিভ করা ৪ হাজার ২৭৫ টাকার একটি চেকের টাকার পরিমাণ কথায় ও অংকে আবদুস সালাম নিজে ঘষামাজার মাধ্যমে অবমোচন করে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যাশোরে উপস্থাপন করে অতিরিক্ত ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া তার রিসিভ করা ২টি আয়কর চেক একইভাবে আশরাফুল আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, যশোর শাখা পরিচালিত শাহী লাল স্টোর নামীয় হিসাবে জমা প্রদান করে মোট ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মোঃ আশরাফুল আলম ও মোঃ শহিদুল ইসলাম (আসামি মোঃ আব্দুস সালামের আপন ছোট ভাই) সাথে যোগসাজস করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে আব্দুস সালাম তার রিসিভ করা অপর ২টি টিএ/ডিএ চেক টেম্পারিং করে টাকার পরিমান বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে অপর আসামি শেখ শরিফুল ইসলামের সাথে যোগসাজস করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৫ টাকা টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রুপালী খাতুন যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন।
আসামি আব্দুস সালাম আয়করের অবশিষ্ট ২টি চেক ও ভ্যাটের ৬টি চেক টেম্পারিং করে ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে মোট ২ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২০ টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রকিব মোস্তফার সাথে যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন। অর্থাৎ আসামি আব্দুস সালামের ১৬টি চেক টেম্পারিং করে শেখ শরিফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম আবুল কালাম আজাদ, রুপালী খাতুন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা যোগসাজস করে ডেসপাসকারী মিজানুর রহমানের সহায়তায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৭২৫ টাকা নগদে উত্তোলন ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
তদন্তকালে ৩৮টি চেক বিশারদের মাধ্যমে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় বিশারদের মতামত অনুযায়ী, ৩৮টি চেকের মধ্যে ২১টি চেকে শুধু টাকার পরিমান কথায় ও অংকে ঘষামাজার মাধ্যমে পূর্বের লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১৭ টি চেকের টাকার পরিমান কথায় ও অংকে ঘষামাজার মাধ্যমে লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কলেজ পরিদর্শক কে. এম রব্বানীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে মতামত প্রদান করেন যে, বিতর্কিত চেকগুলোর টাকার অংক এবং কথায় লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে, তা আল্ট্রাভায়োলেট মেশিনে স্পষ্টভাবে পরিদৃষ্ট হয়েছে। ভ্যাট ও আয় করের চেকগুলো এবং যে চেকগুলোতে প্রাপকের নাম পাল্টে অন্য নাম বসানো হয়েছে তার সবগুলোতে প্রাপকের নাম লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। সাধারণ চোখে এটি তেমন নজরে পড়েনা। খুব খেয়াল করলে টেম্পারিং করার চিহ্ন দেখা যায়।
দুদক যশোরের উপপরিচালক আল আমিন জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ইস্যুকৃত ৩৮টি চেক রিসিভ করার পর টেম্পারিং/ঘষামাজার মাধ্যমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা নগদ উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে অভিযুক্তরা।
তদন্তকালে আরও দেখা যায়, ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২১- ২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত যশোর শিক্ষা বোর্ডে দুইজন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন কর্মরত ছিলেন। সময়ে ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ তিনজন সচিব কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য ড. মোল্লা আমীর হোসেন প্রথমে সচিব ছিলেন, পরে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। অন্য দুইজন সচিব হলেন প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান। প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মোট ২২টি এবং অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৬টি মোট ২২+১৬= ৩৮টি চেক জালিয়াতি হয়েছে। তারা দুইজন ৩৮টি চেকে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া উক্ত ৩৮টি চেকের মধ্যে ড. মোল্লা আমীর হোসেন এর সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ১২টি’তে, প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা এর সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ৫টি’তে এবং প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমানের সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ২১টি’তে। মোট ৩৮টি চেক জালিয়াতি/টেম্পারিং এ সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের বর্ণিত চেয়ারম্যান ও সচিবের দালিলিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, কারণ চেকগুলো তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডেসপাস হওয়ার পর টেম্পারিং হয়েছে।
এছাড়া টেম্পারড চেক তাদের নামীয় ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি বা চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অপরাধলব্ধ অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা হওয়ার রেকর্ডও তদন্তকালে পাওয়া যায়নি। সুতরাং আলোচ্য ৩৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনায় সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন এবং সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান এর সম্পৃক্ততা নেই।
বিধায়, এজাহার নামীয় ১নং আসামি অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন (পরিচিতি নং ৬০৬৯) সাবেক চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, বর্তমানে ওএসডি, মাউশি, ঢাকা ও এজাহার নামীয় ২নং আসামি প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, সাবেক সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), মাউশি, ঢাকায়। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মঞ্জুরীর ভিত্তিতে চার্জশীটে তাদেরকে অত্র মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক চেক হস্তান্তর হওয়ার পর ক্লিয়ারিং জালিয়াতি হওয়ায় দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার ফলে চেক জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে। এজন্য চেকের সিগনেটরি হিসেবে বর্ণিত দুইজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সচিব সুস্পষ্টভাবে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। এছাড়া বর্ণিত সময়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডে কোন অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালিত হয়নি। প্রতি অর্থবছর শেষে একটি হিসাব মিলকরণের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে সচিবের নেতৃত্বে বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক ও অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদ কাজ করেছেন।
কিন্তু ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২০- ২০২১ অর্থবছরে পরিচালিত হিসাব মিলকরণ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারা জালিয়াতি সঠিক সময়ে উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা সুস্পষ্ট দায়িত্ব অবহেলা। বিধায় সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সাবেক সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান, বোর্ডের উপপরিচালক (হি ও নি), মো: এমদাদুল হক, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ ইতোমধ্যে সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করায় শুধু এমদাদুল হক ও আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর

জালিয়াতি করে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আত্নসাতে দুদকের চার্জশিট

আপডেট টাইম : ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোঃ আল আমিন। প্রায় ৩ বছর পর সম্প্রতি এই চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে শিক্ষাবোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় চার্জশিটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম, হাইকোর্ট মোড়ের শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিস পাড়ার নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক গাজী নূর ইসলাম, শহরের জামে মসজিদ লেন এলাকার প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক ইকবাল হোসেন ও স্ত্রী রুপালী খাতুন, নতুন উপশহর ই ব্লক এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলাম, একই এলাকার সোনেক্স ইন্টারন্যাশনালের মালিক রকিব মোস্তফা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন অফিসার আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জুলফিকার আলী, নিম্নমান সহকারী (চেক ডেসপাসকারী) মিজানুর রহমান ও সাধারণ কর্মচারী (চেক ডেসপাসকারী) কবির হোসেন।   ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর আত্মসাতের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়েছিল।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর ওই বছরের ১৮ অক্টোবর মামলা করে। যার নম্বর ০১/২০২১। তদন্তে মোট ১১ জন আসামীর বিরুদ্ধে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি  জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩  হাজার ৩ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক যশোরের উপ- পরিচালক আল আমিন গত ৮ অক্টোবর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিট নম্বর ১২। দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন জানান, তদন্তকালে দেখা যায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের প্রায় ২৫টি হিসাব সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যশোরে পরিচালিত হয়। ২০১৭- ১৮ অর্থবছর হতে ২০২১- ২২ অর্থবছর পর্যন্ত (হিসাব নং ২৩২৩২৪০০০০০২৪) ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা প্রদানের পর ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৬ টাকার স্থলে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৭ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
তদন্তকালে দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ৩৮টি চেকের মধ্যে টিএ/ডিএ বিল বাবদ আসামি আব্দুস সালামের নামে ইস্যুকৃত চেক ৩টি, সাধারণ বিল বাবদ সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত চেক ১টি, মিম প্রিন্টিং প্রেসের নামে ৩টি, মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেস এর নামে ২টি, নিহার প্রিন্টিং প্রেস এর নামে ১টি, সবুজ প্রিন্টিং প্রেসের নামে ১টি, শরিফ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং এর নামে ১টি, সানিয়া ইলেক্ট্রনিক্স এর নামে ১টি, নূর এন্টার প্রাইজের নামে ৮টি, প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেস নামে ৩টি, শাহী লাল স্টোরের নামে ১টি, দেশ প্রিন্টার্স নামে ১টি, সেকশন অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদের নামে ১টি, অর্পানেটের নামে ১টি, আয়কর কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত চেক ৪টি ও ভ্যাট কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত ৬টি চেক রয়েছে।
আসামি আব্দুস সালাম ২ হাজার ৮৭০ টাকার একটি চেক ও সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের রিসিভ করা ৪ হাজার ২৭৫ টাকার একটি চেকের টাকার পরিমাণ কথায় ও অংকে আবদুস সালাম নিজে ঘষামাজার মাধ্যমে অবমোচন করে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যাশোরে উপস্থাপন করে অতিরিক্ত ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া তার রিসিভ করা ২টি আয়কর চেক একইভাবে আশরাফুল আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, যশোর শাখা পরিচালিত শাহী লাল স্টোর নামীয় হিসাবে জমা প্রদান করে মোট ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মোঃ আশরাফুল আলম ও মোঃ শহিদুল ইসলাম (আসামি মোঃ আব্দুস সালামের আপন ছোট ভাই) সাথে যোগসাজস করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে আব্দুস সালাম তার রিসিভ করা অপর ২টি টিএ/ডিএ চেক টেম্পারিং করে টাকার পরিমান বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে অপর আসামি শেখ শরিফুল ইসলামের সাথে যোগসাজস করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৫ টাকা টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রুপালী খাতুন যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন।
আসামি আব্দুস সালাম আয়করের অবশিষ্ট ২টি চেক ও ভ্যাটের ৬টি চেক টেম্পারিং করে ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে মোট ২ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২০ টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রকিব মোস্তফার সাথে যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন। অর্থাৎ আসামি আব্দুস সালামের ১৬টি চেক টেম্পারিং করে শেখ শরিফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম আবুল কালাম আজাদ, রুপালী খাতুন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা যোগসাজস করে ডেসপাসকারী মিজানুর রহমানের সহায়তায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৭২৫ টাকা নগদে উত্তোলন ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
তদন্তকালে ৩৮টি চেক বিশারদের মাধ্যমে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় বিশারদের মতামত অনুযায়ী, ৩৮টি চেকের মধ্যে ২১টি চেকে শুধু টাকার পরিমান কথায় ও অংকে ঘষামাজার মাধ্যমে পূর্বের লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১৭ টি চেকের টাকার পরিমান কথায় ও অংকে ঘষামাজার মাধ্যমে লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কলেজ পরিদর্শক কে. এম রব্বানীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে মতামত প্রদান করেন যে, বিতর্কিত চেকগুলোর টাকার অংক এবং কথায় লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে, তা আল্ট্রাভায়োলেট মেশিনে স্পষ্টভাবে পরিদৃষ্ট হয়েছে। ভ্যাট ও আয় করের চেকগুলো এবং যে চেকগুলোতে প্রাপকের নাম পাল্টে অন্য নাম বসানো হয়েছে তার সবগুলোতে প্রাপকের নাম লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। সাধারণ চোখে এটি তেমন নজরে পড়েনা। খুব খেয়াল করলে টেম্পারিং করার চিহ্ন দেখা যায়।
দুদক যশোরের উপপরিচালক আল আমিন জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ইস্যুকৃত ৩৮টি চেক রিসিভ করার পর টেম্পারিং/ঘষামাজার মাধ্যমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা নগদ উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে অভিযুক্তরা।
তদন্তকালে আরও দেখা যায়, ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২১- ২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত যশোর শিক্ষা বোর্ডে দুইজন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন কর্মরত ছিলেন। সময়ে ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ তিনজন সচিব কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য ড. মোল্লা আমীর হোসেন প্রথমে সচিব ছিলেন, পরে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। অন্য দুইজন সচিব হলেন প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান। প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মোট ২২টি এবং অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৬টি মোট ২২+১৬= ৩৮টি চেক জালিয়াতি হয়েছে। তারা দুইজন ৩৮টি চেকে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া উক্ত ৩৮টি চেকের মধ্যে ড. মোল্লা আমীর হোসেন এর সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ১২টি’তে, প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা এর সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ৫টি’তে এবং প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমানের সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ২১টি’তে। মোট ৩৮টি চেক জালিয়াতি/টেম্পারিং এ সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের বর্ণিত চেয়ারম্যান ও সচিবের দালিলিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, কারণ চেকগুলো তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডেসপাস হওয়ার পর টেম্পারিং হয়েছে।
এছাড়া টেম্পারড চেক তাদের নামীয় ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি বা চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অপরাধলব্ধ অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা হওয়ার রেকর্ডও তদন্তকালে পাওয়া যায়নি। সুতরাং আলোচ্য ৩৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনায় সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন এবং সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান এর সম্পৃক্ততা নেই।
বিধায়, এজাহার নামীয় ১নং আসামি অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন (পরিচিতি নং ৬০৬৯) সাবেক চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, বর্তমানে ওএসডি, মাউশি, ঢাকা ও এজাহার নামীয় ২নং আসামি প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, সাবেক সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), মাউশি, ঢাকায়। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মঞ্জুরীর ভিত্তিতে চার্জশীটে তাদেরকে অত্র মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক চেক হস্তান্তর হওয়ার পর ক্লিয়ারিং জালিয়াতি হওয়ায় দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার ফলে চেক জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে। এজন্য চেকের সিগনেটরি হিসেবে বর্ণিত দুইজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সচিব সুস্পষ্টভাবে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। এছাড়া বর্ণিত সময়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডে কোন অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালিত হয়নি। প্রতি অর্থবছর শেষে একটি হিসাব মিলকরণের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে সচিবের নেতৃত্বে বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক ও অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদ কাজ করেছেন।
কিন্তু ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২০- ২০২১ অর্থবছরে পরিচালিত হিসাব মিলকরণ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারা জালিয়াতি সঠিক সময়ে উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা সুস্পষ্ট দায়িত্ব অবহেলা। বিধায় সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সাবেক সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান, বোর্ডের উপপরিচালক (হি ও নি), মো: এমদাদুল হক, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ ইতোমধ্যে সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করায় শুধু এমদাদুল হক ও আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

প্রিন্ট