কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামে কয়েক দফা সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দৌলতখালী গ্রামের জাহিদ হোসেন ও বিএনপি নেতা জিন্নাত আলী জিন্নাহর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতখালী শওকত মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে কাওছার আলী, কামরুল, জিন্নাহ ও জাহিদ হোসেনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে দৌলতখালী গোডাউনবাজারে নিজ চেম্বারে কর্মরত অবস্থায় পল্লি চিকিৎসক মন্টু ডাক্তারের ওপর হামলা চালায় ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হোসেনের লোকজন। এ সময় তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ পর সকাল ১০টার দিকে দৌলতখালী গোডাউনবাজার এলাকার আজমত আলী সর্দার ও তার ছেলে সাগর হোসেন মোটরসাইকেলযোগে দৌলতখালী সর্দারপাড়ায় যাওয়ার পথে দৌলতখালী মাদ্রাসা মোড়ে তাদের ওপর হামলা চালায় জিন্নাত আলী জিন্নার লোকজন। হামলাকারীরা আজমত সর্দার ও তার ছেলে সাগরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গুরুতর আহত আজমত সর্দার (৫৫) ও তার ছেলে সাগর হোসেন (২৫) এবং পল্লি চিকিৎসক মন্টু ডাক্তারকে (৫২) উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনার পর দৌলতখালী গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সংঘর্ষের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৌলতখালী গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রিন্ট