পাবনার সাঁথিয়ার অটোরিকশা চালক সেলিম হোসেন (২৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসাথে ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, পুলিশি তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারীদের সনাক্ত করা হয়। গত ১২ জুন ভোরে ঢাকা জেলার ধামরাই থানা এলাকার জনৈক বক্করের ইটভাটা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত’রা হলেন, সাঁথিয়া উপজেলার ছোন্দহন এলাকার সাঈদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন (২২), বহলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে রানা শেখ (২১) ও একই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন (২১), হোসেন আলী (১৮), আতাইকুলার দেলোয়ার হোসেন (৩৮)।
আসামীদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, পরিকল্পনা মোতাবেক আসামীরা গত ৯ জুন বিকাল ৫টার দিকে মাহমুদপুর বাজারে একত্রিত হয়। সেখান থেকে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে ভিকটিম অটোরিকশা চালক সেলিমকে মাহমুদপুর বাজারে আসতে বলে তারা। সেলিম মাহমুদপুর বাজারে আসলে উক্ত আসামীরা অটোরিকশায় করে বহালবাড়ীয়ার কালুকাটা নামক স্থানে পৌঁছে। সেখানে পুর্বপরিকল্পনা মতো ইজিবাইকটি মোড়ে রেখে কালুকাটা চকে আইলের উপর বসে গাঁজা সেবন করতে থাকে তারা। রাত্রী অনুমান ৯টার দিকে ভিকটিম সেলিম নেশাগ্রস্থ হয়ে পরলে আসামীরা চাকু এবং হাতুরি দিয়ে সেলিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
আসামীরা সেলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে অটোরিকশাটি নিয়ে একইরাতে আতাইকুলা বাজারে যায় এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাংরির দোকানদার দেলোয়ারের নিকট ৩১ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে অটোরকিশাটি বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার জানান, এই ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট