স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী- আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দার (৪২) সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
পিল্টু জোয়ার্দ্দার পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কশবামাজাইল ইউপির সুবর্ণকোলা গ্রামের সমাজসেবী মরহুম শামসুদ্দিন জোয়ার্দ্দারের কনিষ্ঠপুত্র পিল্টু জোয়ার্দ্দার। আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন পিল্টু জোয়ার্দ্দার।
তিনটি মামলায় দীর্ঘ আটমাসের বেশি সময় রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন তিনি। খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র তিনটি মামলার ২টিতে ইতোমধ্যে তিনি জামিনলাভ করেছেন। অস্ত্র মামলায় জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একটি হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ধার্য তারিখে হাইকোর্টে জামিন শুনানীতে অংশ নিতে আগেরদিন ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে পাংশা এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জজ আলী বিশ্বাস ও পিল্টু জোয়ার্দ্দারসহ ৩৭জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের নামে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই সময় উল্লেখিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারের প্রতিবাদে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ। ওই সাংবদিক সম্মেলনে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খোন্দকার সাইফুল ইসলাম (বুড়ো) এবং পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এফ.এম শফীউদ্দিন (পাতা) সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডাঃ এ.এফ.এম শফীউদ্দিন (পাতা)
এদিকে, সোমবার ১৪ জুন সরজমিন তথ্যানুসন্ধ্যানে কশবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য, কশবামাজাইল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল হান্নান, কারাবন্দী আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দারের ভাস্তে মেহেদী হাসান বলেন, মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দার কশবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সামাজিক সেবা ও জনকল্যাণমুলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত তিনি।
কিন্তু এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় তিনি দীর্ঘ আট মাসের অধীক সময় কারাবন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জিআর ৫৩/২০, তাং ১৩/০৩/২০২০, জিআর ১২১/২০২০, তাং ২৩/০৯/২০২০ ও জিআর ১২০/২০, তাং ২৩/০৯/২০২০ দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিজ্ঞ উচ্চ আদালত থেকে ও ডাকাতি মামলায় রাজবাড়ীর বিজ্ঞ আদালত থেকে তার জামিন হয়েছে। অস্ত্র মামলায় বিজ্ঞ উচ্চ আদালতে জামিনের আপিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তার জামিল লাভ এবং নির্দোষ প্রমাণ প্রত্যাশা করেন পরিবার ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গতঃ ওই মামলার আসামী, ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধ জজ আলী বিশ্বাস (৭৫) উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের কয়েক দিন পর ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
প্রিন্ট