গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল বালাহের একটি মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৩ জন। রবিবার ভোরে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যা গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানান, “মসজিদে হামলায় ২১ জন নিহত হন, বাকি ৩ জন নিহত হয়েছেন একটি স্কুলে হামলার ঘটনায়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব আহতকে গাজার আল-আকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
বাসাল জানান, “মসজিদ এবং স্কুলটি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছিল। তাদের দাবি, দেইর আল বালাহের মসজিদ ও স্কুলে হামাসের সন্ত্রাসীরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ছদ্মবেশে অবস্থান করছিল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর এক বছর পূর্তির এক দিন আগে এই হামলা ঘটলো। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রিত হামাস ও এর মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়, যার ফলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শতাধিক জিম্মি এখনও হামাসের কব্জায় রয়েছে।
জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে এবং এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।
সূত্র : এএফপি
প্রিন্ট