ইসরায়েল স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে একটি হিজবুল্লাহর টানেল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সাম্প্রতিক স্থল ও আকাশপথের যৌথ অভিযানে বেশ কয়েকজন হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তারা ইসরায়েলের হাইফা শহরের কাছে রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলা করেছে এবং লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে একটি ইসরায়েলি ট্যাংকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। যদিও ইসরায়েল এ বিষয়ে কিছু বলেনি, শনিবার ভোরে দেশটির উত্তরাঞ্চলজুড়ে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে লেবানন ছেড়ে সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে ২ লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে লেবাননের নাগরিক ও সেখানে বসবাসরত সিরিয়ানরা রয়েছে। লেবানন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।
গত শুক্রবার, লেবানন ও সিরিয়ার প্রধান সীমান্তপথের কাছে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে, ফলে সীমান্ত দিয়ে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মাসনা ক্রসিংয়ের কাছে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করেছে।
বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এরপর থেকে ইসরায়েল দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে। এর ফলে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত এখন একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে।
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে তিনটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছে এবং আরও উড়োজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। অন্তত ২৩টি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কিছু দেশ নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এবং অন্যরা সামরিক উড়োজাহাজ পাঠাচ্ছে।
প্রিন্ট