ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। এনিয়ে ভাতিজা মো. বাদল শেখ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও আয়নাল নামে দুজনের জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত পাঁচু শেখের ছেলে খলিলের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চন্দনী মৌজার এসএ ৮০৯ নং দাগের ৫৮ শতাংশ জমির ২২ শতাংশ জমি রহিম হাজী অংশিদার হিসেবে ভোগদখল করেন। তবে ওই দাগে বাকি ৩৬ শতাংশ জমি ইসলাম আসেন শেখের তিন ছেলের নামে এসএ বরাবর রেকর্ড হয়। তিন ছেলে মো. আব্দুল মালেক শেখ, আয়নাল শেখ, ও পাঁচু শেখ। সে রেকর্ডীয় জমির ভাগ অনুযায়ী তিন ছেলে প্রত্যেকে ১২ শতাংশ জমির মালিক। এ যাবতকাল সবাই সমান বন্টকের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছে। তবে এর ভেতরে সে জমি পাঁচু শেখের ছেলেরা তাদের নামে একক ভাবে কিভাবে বিএস বরাবর রেকর্ড করিয়ে এনেছে তা জানেননা ওই জমির অন্য মালিকরা।
এসএ রেকর্ড উপেক্ষা করে বিএস রেকর্ড কিভাবে করা যায় তা জানা নেই করো । বিএস রেকর্ড সংশোধনীর মামলা আদালতে চলমান রয়েেেছ। সে জমি চার পাঁচ লাখ টাকার গাছ পালা রয়েছে। গাছ গুলো কাটার জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছে পাঁচু ছেলে খলিল শেখের লোকজন। তবে জমি থেকে গাছ পালা বিক্রি করলে বা কাটলে মৃত মালেকের নাতি বাদল, ও আয়নালের ছেলে সালাম শেখদের সাথে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
মো. বাদল শেখ জানান, চন্দনী মৌজার এসএ ৮০৯ নং দাগের ৩৬ শতাংশ জমির ৩ ভাগের একভাগ আমার বাবা মৃত সামাদ শেখ দাদার ১২ শতাংশ জমির মালিক। সে সূত্রে ওই জমি আমরা ৫ ভাই ৩ বোন এ যাবতকাল ভোগ দখল করে আসছি। সেখানে আমার চাচতো দাদা মৃত আয়নাল শেখ ১২ শতাংশ জমির মালিক। সে সূত্রে ওই ১২ শতাংশ জমির মালিক তাঁর ছেলে সালাম শেখ ও ইকরাম শেখসহ ২ বোন। আরেক চাচতো দাদা মৃত পাঁচু শেখ ও ১২ শতাংশ জমির মালিক। সে সূত্রে তাঁর ছেলে খলিল শেখরা ৪ ভাইসহ ১ বোন অংশিদার। আমরা বাড়ি না থাকায় ওই ৩৬ শতাংশ জমি আমাদের ও আয়নাল দাদাকে ফাঁকি দিয়ে পাঁচু শেখের ছেলে খলিল শেখরা সম্পূর্ণ জমি বিএস বরাবর রেকর্ড করে নেয়। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই।
সালাম শেখ জানান, ওই দাগের ৩৬ শতাংশ জমির ১২ শতাংশের পৈত্রিক সূত্রে আমরা মালিক। তবে পাঁচু কাকার ছেলেরা ফাঁকি দিয়ে বিএস রেকর্ড করিয়ে তারা দখলের চেষ্টা করছে। এসএ রেকর্ডে আমরা মালিক আর বিএসএ একক ভাবে তারা মালিক কিভাবে হয়। প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন পূনরায় তদন্ত পূর্বক প্রকৃত মালিক বের করে তাদের জমি বুঝিয়ে দেয়া হোক।
মো. খলিল শেখের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।