মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা রিয়াজ মোল্লাকে হত্যার অভিযোগে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাপ ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর ) দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে নহাটা এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে নিহত রিয়াজ মোল্লার পরিবারসহ কয়েক শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আখতারুজ্জামান, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদ, নিহতের চাচা হায়াতুর রহমান, পিতা নিজাম উদ্দিন, স্ত্রী শাহনাজ প্রমূখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, রিয়াজ মোল্লাকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তোরাপ ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
অবৈধ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান আসামী তুরাপ এবং মহম্মদপুরে সাবেক ওসি বোরহানুল হক এর জোকসাজসে ৩৩ জন আসামির মধ্যে মাত্র তিন জনের নামে চার্জশিট প্রেরণ করে আদালতে। যা পরে পুণ্য তদন্তের দাবিতে বাদীপক্ষ নারাজি দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ই নভেম্বর নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রিয়াজ মোল্যা (৩৫) কে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের শোধনালা খালে চুরি করে মাছ মারার নাটক সাজিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রিয়াজ মোল্যার অবস্থা খারাপ থাকায় পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি।
পরে রিয়াজ মোল্যাকে স্থানীয়দের সহায়তায় মহম্মদপুর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরবর্তীতে রিয়াজের বাবা মোঃনিজাম মোল্যা বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ মামলা গ্রহণ না করলে তিনি মাগুরা জেলা জজ আদালতে ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যাকান্ডের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ২ জন আসামি আটক হয়েছে।
বাকি আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে বিশেষ কারণে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। উল্টো আসামী পক্ষ রিয়াজের পরিবারকে মামলা তুলে না নেওয়ায় হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসকল অভিযোগ এনে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে মাগুরা জেলার সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ সহ নহাটা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রিন্ট