রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে। মানসম্মত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমান কোনো সুযোগ-সুবিধাও এখানে নাই। স্কুলে কমনরুম, বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরী ও কম্পিউটার নাই। অভিভাবক মহল বিজ্ঞান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ানের বেতন বন্ধের দাবি তুলেছেন।
জানা গেছে ,বিগত ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক নেতার ইচ্ছে পুরুণে রাজনৈতিক বিবেচনায় মির্জাপুর গ্রামে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালে স্কুল এমপিও ভুক্ত করা হয়। স্কুলে ১২ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী রয়েছেন। এখানে ৬ জন কর্মচারীর কি কাজ সেটা শিক্ষকেরাও বলতে পারে না। বাণিজ্যে করতে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কম্পিউটার শিক্ষক না থাকায় কম্পিউটার ক্লাশ নেয়া হয় না, স্কুলে কোনো কম্পিউটারও নাই।
বিগত ২০১৩ সালে মিমি রাণী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পান। কিন্ত্ত স্কুলে কোনো লাইব্রেরী না থাকায় তিনি বসে বসে বেতনভাতা নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিজ্ঞানার না থাকায় বিজ্ঞান শিক্ষক সাইদুর রহমান বসে বসে বেতনভাতা ভোগ করছেন। এদিকে এতো কিছু না থাকার মাঝেও সম্প্রতি রাজনৈতিক বিবেচনায় তিন জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা বাণিজ্যে করা হয়েছে।
ওদিকে স্কুলে কম্পিউটার ও বিজ্ঞানাগার না থাকায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) ও বিজ্ঞান শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে এলাকাবাসি ডাকযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন প্রামানিক বলেন,কম্পিউটার শিক্ষক নাই এবং ভবন না থাকায় কমনরুম, বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরি নাই। তিনি বলেন, নিয়োগের টাকা কে নিয়েছেন সেটা সবাই জানেন, এসব প্রশ্ন করে তাকে বিব্রত করা হচ্ছে।