প্রতিপক্ষের হামলায় তিন মাস পূর্বে রিপন সরদার নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও পুরাপুরি সুস্থ হয়নি সে এরই মধ্যে সেই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। রিপন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের বাদশা সরদারের ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষারগোপ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত রিপনকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে জুয়েল সরদার ও হুমাউন সরদারসহ ১৪ জন ও অজ্ঞাত ২-৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত রিপন সরদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের জুয়েল সরদার ও হুমাউন সরদারসহ অন্য বিবাদীদের সাথে রিপন সরদারদের গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দির্ঘদিনের বিরোধ চলে আসচ্ছে। এ বিরোধের জেরে চলতি বছরের ১৯ জুন প্রতিপক্ষের হামলায় আজিজার শেখ ও রিপন সরদারের উপর হামলা চালানো হয়। উক্ত হামলায় আজিজার শেখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রিপন সরদার গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনার মামলায় জুয়েল সরদার ও হুমাউন সরদারসহ অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রিপন সরদার স্থানীয় মহিষাারগোপ বাজারে গেলে জুয়েল সরদার ও হুমাউন সরদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিপন সরদারের উপর হামলা চালায়। সে হামলায় রিপন সরদার গুরুতর আহত হয়। তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা জীবন নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত রিপনকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত জুয়েল সরদার জানান, রিপন সরদার আমার চাচাতো ভাই, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, হামলার খবর শুনে আমি মহিষারগোপ বাজারে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম রিপন সরদার নিজে একজন পিকআপ চালক।সকাল বেলা তার পিকআপ চালিয়ে বারইপাড়া গ্রামের সবুর শেখের ছেলে মোনতাছিরকে পিকআপ দিয়ে চাপা দিতে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুনেছি এ হামলায় রিপন সরদার আহত হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর-রশিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট