ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় যৌতুকের টাকার জন্য রিমা বেগম (৩০) নামে গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার রিমা বেগমকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত গৃহবধুর স্বামী রবিউল সিকদার, শাশুড়ি মাজেদা বেগম ও ননদ মিম খানমের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন রিমা বেগমের পিতা হেমায়েত মোল্যা। রিমা বেগমের বাড়ি উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামে।
রিমা বেগমের পিতা হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়েল নৈশ প্রহরী হেমায়েত মোল্যা জানান, আনুমানিক ১৩ বছর আগে আমার মেয়ে রিমা বেগমের সাথে চরডাঙ্গা গ্রামের মোক্তার সিকদারের ছেলে নছিমন চালক রবিউল সিকদারের সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে, ছোট মেয়েটির বয়স ৫ মাস। মেয়েকে যৌতুকের জন্য এর পূর্বেও একাধিক বার মারধর ও নির্যাতন চালিয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ মিমাংসা হয়। শেষে শশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করবেনা বলে মুসলেকা দেয়, এরপর মেয়েকে তাদের বাড়িতে পাঠাই। গত মঙ্গলবার বিকেলে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রবিউলসহ তাদের বাড়ির লোকজন গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আমার স্ত্রী গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রিমা বেগমের মাতা লায়লা বেগম জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শশুর বাড়ির লোকজন কারণে অকারণে গায়ে হাত তোলে। এ নিয়ে একাধিকবার এলাকায় সালিশ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেলাম আমার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন মেরে আহত করে রেখেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার ছোট নাতনির বয়স মাত্র ৫ মাস, বাচ্চার দুধ কেনার টাকা পর্যন্ত আমাদের দিতে হয়। আমরা এ সুষ্ট বিচার চাই।
স্বামী রবিউল সিকদার বলেন, আমার স্ত্রী প্রথমে আমাদের গায়ে হাত তোলে,তারপর আমরা তাকে মেরেছি। পরিবারের লোকজন যৌতুক চাওয়া ও নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেন।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর-রশিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট