জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলায় ক্ষুদ্ধ ও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গ্রাহকরা বলছেন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে টিভি, ফ্রিজ, এসি সহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা ।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ পাওয়ায় কারণে ১ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে । জানা গেছে, জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, পাঁচবিবি জোনাল অফিসের ৩টি উপ কেন্দ্রের আওতায় ৬টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়। এ উপজেলায় বড় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকলেও প্রায় ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ৬৫ হাজার ২৪৯জন, বাণিজ্যিক গ্রাহক ৪হাজার ৮শ ৪২জন, দাতব্য গ্রাহক ১হাজার ১১জন, সেচ পাম্প ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য গ্রাহক সদস্য ২ হাজার ১শ ৫জন। এসবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সাড়ে ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হলেও বরাদ্ধ পাওয়া যায় মাত্র ১২ সাড়ে ১২ মেগাওয়াট। উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ১০ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ পাওযা যায়। যে কারণে আমরা ফ্রিজ,টিভি, এসি সহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে শঙ্কায় আছি। বিদ্যুৎ অফিসের ফোন করলে বলে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের গ্রাহক মাহফুজার আলম বলেন, ‘আমরা যারা পুরুষ মানুষ, তারা হয়তো বাইরে ঘোরাফিরা করতে পারছি। কিন্তু ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বৃদ্ধ, নারীসহ শিশুরা। তারা তো আর বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না।’ কড়িয়া গ্রামের গ্রাহক আরিফুল ইসলাম বলেন, ঠিকমত বিদ্যুৎ না পেলেও ‘মাস শেষে ঠিকই বিল নিচ্ছে। তুলনা মুলক ভাবে আগের মাসের চেয়ে বিল অনেক বেশিও এসেছে ।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাঁচবিবি জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইদার রহমান বলেন, উপজেলায় সাড়ে ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর চাহিদা থাকলেও পাওয়া যায় সাড়ে ১২ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ প্রাপ্তির উপর নির্ভর করে ১ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হয় । তবে সরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় শহরাঞ্চলে গ্রামের তুলনায় কম লোডশেডিং দেয়া হয় । তিনি আরো বলেন,কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত প্রাপ্তির উপর নির্ভর করবে কত সময় ধরে এ লোডশেডিং চলবে । এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।