‘দাবি এক ডাক্তার নামজুলের পদত্যাগ’’, ‘দুর্নীতিবাজ হাটাও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাঁচাও’, ‘এক দফা এক দাবি নামজুল হাসানের পদত্যাগ দাবি’। -এসব স্লোগানে আবারও মুখর হয়ে ওঠে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্ত্বর।
সোমবার সকাল ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসানের পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এর আগে গত (১০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাজমুলের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন এর দুইদিন পর বৃহস্পতিবার তারা আবার বিক্ষোভ করেন। সেসময় শিক্ষাথীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যে প্রবেশ করে নামজুলের কক্ষে তালা দেন। বৃহস্পতিবার আন্দোলনের খবর জানতে পেরে আগের দিন রাতে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবারে ডা.নাজমুল আবার কর্মস্থলে ফেরেন। অল্প কিছুসময় থেকে ফরিদপুরে চলে যান।
সমাবেশে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় আট বছর আগে চাকুরীতে যোগ দেন। চার বছর আগে পদোন্নতি হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন। এরপর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্নখাতে দুর্নীতির সঙ্গে ব্যপকভাবে জড়িয়ে পড়েন। সিভিল সার্জন আশ্বস্থ করেছে নাজমুল আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর আসবে না। তাঁর কথা সুনে আমরা ফিরে যাচ্ছি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তায়েব হাসান, তৈফিক হোসেন, সৌরভ মোল্লা, তুর্জ মাতুব্বর ও খুলনা পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান রনি।
আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ডা. তানজিন জাহান জিনিয়া জানান, শিক্ষার্থীরা ডা.নাজমুলের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে। স্যার গত বৃহস্পতিবার থেকে এক মাসের ছুটি নিয়েছেন। সিভিল সার্জন স্যারের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা হয়েছে। ডা.নাজমুল আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবেনা বলে আশ্বস্থ করেছেন সিভিল সার্জন।
ডা. নাজমল হাসানের সাথে এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন সাজেদা বেগম পলিন জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখে আমি ফরিদপুরে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেছি। ডা. নাজমুল আলফাডাঙ্গাতে আর ফিরবে না। তাকে বদলী করা হবে।