গোপালগঞ্জে হাশেম মোল্লা নামের এক প্রবাসী ও তার ছোট ভাইদের বসতভিটা ও কৃষি জমি ভূয়া রেকর্ড এর সূত্র ধরে জবর দখল করার চেষ্টা করেছে প্রভাবশালী একটি জালিয়াত মহল। তবে আর এস ও এস এ রেকর্ড এবং ২৪৩৪ ও ৮৪৭ নম্বরের দুইটি দলিল সূত্র বলছে জমির প্রকৃত মালিক হাশেম মোল্লা ও তার চার ভাই নুরালম মোল্লা, কাশেম মোল্লা, জলিল মোল্লা ও জব্বার মোল্লা।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফুর ইউনিয়নের ১০৭ নম্বর মানিদাহ মৌজার চরমানিকদাহ পুর্ব পাড়া গ্ৰামে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রবাসী হাশেম মোল্লা দীর্ঘ ২২বছর প্রবাস জীবন শেষে ২০২৩ সালে মার্চ মাসে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশে এসে জানতে পারেন যে, তার প্রতিবেশী মৃত আকবর আলী মোল্লা ১০৭ নম্বর মানিকদাহ মৌজার ৮৯ নং খতিয়ানের ২৫৫২ দাগের বি আর এস রেকর্ড চলাকালীন সময়ে সার্ভেয়ারদের ম্যানেজ করে
নকল কাগজ পত্র ও মনগড়া দখল দেখিয়ে তার নিজের নাম সহ ভাবি রহিমা খাতুন, ঝর্ণা বেগম, পান্না বেগম ও আন্না বেগমের নামে বি আর এস রেকর্ড করান।
এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও সমাধান পাননি প্রবাস ফেরত হাশেম মোল্লা। পরবর্তিতে প্রবাস ফেরত হাশেম মোল্লা নিরিপায় হয়ে ছোট ভাই মোঃ জব্বার মোল্লাকে বাদী করে সহকারী জজ আদালত গোপালগঞ্জে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা দায়ের করেন। রেকর্ড সংশোধনী মামলা নম্বর- ৯২/২০২৩।
হাশেম মোল্লা সাংবাদিকদের আরো জানান, আমি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম। আমার চার ভাই নুরালম মোল্লা, কাশেম মোল্লা, জলিল মোল্লা ও জব্বার বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু তারা অক্ষর জ্ঞানহীন হওয়ায় ও জায়গা জমি বিষয়ে ভালো না বোঝায় প্রতিবেশী ভূমিদস্যু জালিয়াত আকবর মাষ্টার ও তার চক্র আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন ওই বানোয়াট রেকর্ডের সূত্র ধরে জালিয়াত চক্রের উত্তরসূরী মিরাজ মোল্লা, বাবুল মোল্লা, রহমত আলী, রাকিব মোল্লা, হান্নান মোল্লা, কচি মোল্লা সহ ঝর্ণা, আন্না ও পান্না বেগম তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাদের কে দখল থেকে সরাতে চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করি বিধায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে রহিমা খাতুনের ছেলে হান্নান মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ২৫৫২ দাগের সম্পত্তি আপোষের চুক্তিতে আমাদের নামে বি আর এস রেকর্ড হয়েছে। আমরা কোন জাল জালিয়াতি করিনি।
প্রিন্ট