পিপল ডাংগী জামে মসজিদ। বুঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি মসজিদ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘর। টিন, বাঁশ এর বেড়া দিয়ে ছোট এই ঘরটিতেই নামাজ পড়েন মুসল্লিরা ও মাদ্রাসার এতিম বাচ্চারা। আধুনিক যুগে এসে এমন মসজিদের দেখা মিলবে। বর্ডারের ১ কিলোমিটার দূরেই ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের পিপল ডাংগী গ্রামে।
এমন বাস্তবতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদের বেহাল অবস্থার চিত্র ঘুরপাক খাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াই। মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন অর্থ।
মাদ্রাসার শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কবে যে হবে। মসজিদটি অনেক পুরাতন। এখানে অর্ধশতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন তার পাশাপাশি পাশে একটি মাদ্রাসা রয়েছেন এখানে এতিমখানার বাচ্চারাও নামাজ পড়েন । মুসল্লিদের বেশিরভাগই কৃষক ও খেটে-খাওয়া মানুষ। মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কুঁড়েঘর। সময়ের দাবিতে এবার এ কুঁড়েঘর থেকে একটু আধুনিক পাকা দালান হতে চাই মসজিদটি। সবসময় যাতে মানুষের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে। এলাকাবাসীও চান পাকা দালানের হোক মসজিদটি।
পাশের গ্রামের স্থানীয় এক যুবক সবুজ বলেন, এই মসজিদটিতে একদিন আমি নামাজ পড়েছিলাম এখানে একটা ফ্যানের ব্যবস্থা নেই, ঠিকমতো কারেন্টের বাতি নেই এমন অবস্থায় মাদ্রাসার বাচ্চা ও এলাকার মুসল্লীরা কিভাবে যে নামাজ পড়েন। তাই মসজিদ ও মাদ্রাসাটির জন্য এলাকার বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে বা সরকারি কোন অনুদান পেলে এই মসজিদ ও মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ও মসজিদের সভাপতি রমজান আলী ফোনে বলেন, মসজিদটির পাশাপাশি মাদ্রাসাটিরও সংস্কার খুবই জরুরি। আধুনিক যুগে এসে এমন জীর্ণশীর্ণ মসজিদ দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। তিনি বলেন, মসজিদটি সংস্কার করে আধুনিকায়ন করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ খেটে-খাওয়া গরিব। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মসজিদ তৈরিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।