ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান Logo কুষ্টিয়ায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা Logo বাগাতিপাড়ায় ট্রেনে কেটে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ার খোকসায় শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ Logo বাঘায় সরেরহাট কল্যাণী শিশুসদন ও বৃদ্ধা নিকেতনের নবনির্মিত ৩ তলা ভবনের উদ্বোধন Logo বালিয়াকান্দিতে সনাতন ধর্মাম্বলী নেতৃবৃন্দের সাথে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মিজানুর রহমানের মতবিনিময় Logo নড়াইলে নানা আয়োজনে সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo এক পিস ইলিশ ২০০! Logo দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন হাতিতে: কী তাৎপর্য আছে এতে? Logo বিচারকের প্রভাব কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া ড্রাইভার গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ

-ছবিঃ প্রতীকী।

রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও আলোচিত চেয়ারম্যান  সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির প্রায় ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ  ইউপির খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার সুফি কামাল মিন্টু।   তার অনুকুলে ৪৯৪ জন কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন।
এ কার্ডধারী উপকারভোগীরা নিয়মানুযায়ী এক মাস পর পর ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। বিগত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আগস্ট ও অক্টোবর মাসের চাল এক সঙ্গে বরাদ্দ করা হয়। একই সঙ্গে  দুই মাসের চাল কার্ড প্রতি ৬০ কেজি করে দেবার কথা। ইউপির অন্যান্য ডিলারগণ ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। কিন্ত্ত সুফি কামাল মিন্টু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কার্ড প্রতি এক মাসের ৩০ কেজি করে চাল দেন। অন্যদিকে ৪৯৪টি কার্ডের বিপরীতে অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত  প্রায় ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। যার বাজার মুল্য ৫০ টাকা কেজি ধরা হলে ৭৫ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিন্ত্ত সাবেক  এমপি ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার  হস্তক্ষেপের কারণে মিন্টুর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার উপকারভোগীরা মিন্টুর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন উপকারভোগী কামারগাঁ গ্রামের সুমনা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৫, আনুয়ারা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৪, কচুয়া গ্রামের আলেকজান বিবি কার্ড নম্বর ৭৫৮,মহাদেবপুর গ্রামের কানন চন্দ্র প্রামানিক কার্ড নম্বর ৮৪৬, শ্রীখন্ডা গ্রামের আলেয়া বেগম কার্ড নম্বর ৭৭৪, কামারগাঁ গ্রামের আব্দুল মতিন কার্ড নম্বর ৮২০, ফিরোজ মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৫০,জামাল মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৭৬, আয়েস মন্ডল কার্ড নম্বর ৯২০ ও হাফেজ সরদার কার্ড নম্বর ১৪৫৬ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার এক মাসের ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন। কিন্ত্ত তারা অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত চাল পাননি। এছাড়াও সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে কমারগাঁ জামে মসজিদ
ও হাফেজিয়া মাদরাসার পুকুর ইজারার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার মাদরাসার সভাপতি মুঞ্জুর রহমান বাদি হয়ে সুফি কামাল মিন্টুকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এসব ঘটনায় মিন্টুর শাস্তির দাবিতে ইউপিবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।অথচ একের পর এক নানা অপকর্ম করেও আওয়ামী লীগের এই নেতা এখানো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুফি কামাল মিন্টু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যাচার করছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলনের আহ্বান

error: Content is protected !!

তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ

আপডেট টাইম : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধ :
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও আলোচিত চেয়ারম্যান  সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির প্রায় ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ  ইউপির খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার সুফি কামাল মিন্টু।   তার অনুকুলে ৪৯৪ জন কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন।
এ কার্ডধারী উপকারভোগীরা নিয়মানুযায়ী এক মাস পর পর ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। বিগত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আগস্ট ও অক্টোবর মাসের চাল এক সঙ্গে বরাদ্দ করা হয়। একই সঙ্গে  দুই মাসের চাল কার্ড প্রতি ৬০ কেজি করে দেবার কথা। ইউপির অন্যান্য ডিলারগণ ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। কিন্ত্ত সুফি কামাল মিন্টু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কার্ড প্রতি এক মাসের ৩০ কেজি করে চাল দেন। অন্যদিকে ৪৯৪টি কার্ডের বিপরীতে অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত  প্রায় ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। যার বাজার মুল্য ৫০ টাকা কেজি ধরা হলে ৭৫ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিন্ত্ত সাবেক  এমপি ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার  হস্তক্ষেপের কারণে মিন্টুর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার উপকারভোগীরা মিন্টুর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন উপকারভোগী কামারগাঁ গ্রামের সুমনা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৫, আনুয়ারা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৪, কচুয়া গ্রামের আলেকজান বিবি কার্ড নম্বর ৭৫৮,মহাদেবপুর গ্রামের কানন চন্দ্র প্রামানিক কার্ড নম্বর ৮৪৬, শ্রীখন্ডা গ্রামের আলেয়া বেগম কার্ড নম্বর ৭৭৪, কামারগাঁ গ্রামের আব্দুল মতিন কার্ড নম্বর ৮২০, ফিরোজ মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৫০,জামাল মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৭৬, আয়েস মন্ডল কার্ড নম্বর ৯২০ ও হাফেজ সরদার কার্ড নম্বর ১৪৫৬ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার এক মাসের ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন। কিন্ত্ত তারা অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত চাল পাননি। এছাড়াও সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে কমারগাঁ জামে মসজিদ
ও হাফেজিয়া মাদরাসার পুকুর ইজারার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার মাদরাসার সভাপতি মুঞ্জুর রহমান বাদি হয়ে সুফি কামাল মিন্টুকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এসব ঘটনায় মিন্টুর শাস্তির দাবিতে ইউপিবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।অথচ একের পর এক নানা অপকর্ম করেও আওয়ামী লীগের এই নেতা এখানো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুফি কামাল মিন্টু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যাচার করছে।