১০ম গ্রেডে বেতনভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে নড়াইলে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের মাছিমদিয়া পিটিআই ভবনের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সহকারি শিক্ষক মো. ইব্রাহিম মোল্যা, কেয়া ঘোষ, নাজমুল ইসলাম,সিকদার মেহেদী হাসান সজীব,রাশা নন্দী, জুয়েল রানা, সৌরভ রায়, মাহামুদুল হাসান, সামাউল নাহার বৃষ্টি প্রমুখ। মো. ইব্রাহিম মোল্যা বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগড়। তারা চাকুরি জীবনে তৃত্বীয় শ্রেণির কর্মচারির গ্রেডে বেতনভাতা গ্রহণ করে থাকেন। সর্বসাকুল্পে একজন প্রাথমিক স্কুলের সহকারি শিক্ষক ১৯ হাজার ৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন। এই বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। তারা ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা প্রদানের দাবি করেন।
কেয়া ঘোষ বলেন, বৈষমা বিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে এই সরকার এখন ক্ষমতায়। আমরা আমাদের দাবি পূরণের ব্যাপারে সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
নাজমুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যে বেতনভাতা পেয়ে বাকি সেই বেতনে বর্তমান বাজারে ১৫দিন সংসার খরচ চলে। পরিবারের চাহিদার বোঝা মাথায় নিয়ে আমাদের স্কুলে আসতে হয়। ছাত্রদের ক্লাস করাতে হয়। তিনি ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা প্রদানের দাবি করেন। সৌরভ রায় বলেন, পরিবারের চাহিদা পূরণের চাপ মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে ছাত্রদের মেধা বিকাশে ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখা যায় না। ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা দেয়া হলে প্রতি মাসে ২৬ হাজার টাকা করে পেেত পারি। তিনি বলেন, আমাদের কষ্টের জীবনের আকৃতি সদাশয় সরকার মেনে নেবেন বলে আমরা আশা করি।
সামাউল নাহার বৃষ্টি দাবি করেন, আর্ন্তজাতিক স্কেলের মানদন্ডে ভারত, শ্রীলঙ্কার শিক্ষার মান ২০ দশমিক ৮। পাকিস্তানের ১১ দশমিক ৩, বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২ দশমিক ৮। তিনি বলেন, আমাদের ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা দিতে হবে। আমাদের এক দফা এক দাবি।