বেসরকারি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি করে বানিয়েছেন তিন কক্ষবিশিষ্ট দোতলা বাড়ি। পরিবার-পরিজন নিয়ে চলছিলও বেশ। তবে চাকরি থেকে মাদক কারবার লাভজনক মনে করে প্রায় তিন মাস আগে চাকরি ছেড়ে দেন। অবশেষে ৬৮ পিস ইয়াবাসহ যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
গ্রেফতার যুবকের নাম কামরুজ্জামান কাজল (২৭)। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মো. হাসান আলীর ছেলে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকায় তার বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্তত ৩৪ জন সদস্যের একটি দল। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, কামরুজ্জামান কাজল একটি প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। তবে লোভে পড়ে প্রায় তিন মাস আগে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন মাদক কারবারি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে তার বাড়িতে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। পরে কুমারখালী থানায় একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।
বেলাল হোসেনের ভাষ্য, ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ৩৪ জন কর্মকর্তা ও সদস্যের একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চাকরি ছেড়ে মাদক কারবারে আসার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল স্বীকার করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কামরুজ্জামান কাজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।