রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মালশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিযুষ কান্তির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ডাকযোগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার মালশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি পিযুষ কান্তি কোচিং সেন্টার সহযোগীতা, সরকারি বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেরামত, স্লিপ বরাদ্দ, টয়লেট মেরামত ইত্যাদি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছেন। প্রধান শিক্ষক উন্নয়ন কাজসহ সব বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অন্ধকারে রেখে তিনি একাই সবকিছু করেন।
প্রধান শিক্ষক রেজুলেশনে সবকিছু লিখে শুধু ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের কাছ স্বাক্ষর নেন। সাবেক এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক পিযুষ কান্তির কোনো কাজে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি বরাদ্দ থেকে সভাপতি পিযুষ কান্তি কমিশন আদায় করেছেন।
এছাড়াও নানা খাতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরাদ্দ সমূহ কাজ না করে ভুয়া ভাউচার দেখিয় লুট করন। সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা পিযুষ কান্তি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যা করেছে সব বড় বড় মাথারা, তার কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি নাই।এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন,অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।