কুষ্টিয়ার খোকসায় টানা চার দিনের বর্ষণে প্রায় হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ভেসে গেছে পুকুরের মাছ শহররক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে। খোকসা উপজেলায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ায় ৯টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভার প্রায়১ হাজার পরিবার জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি উপজেলার কয়েকটি দপ্তরের জলবদ্ধতার কারণে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
পাশাপাশি ফসলিজমিসহ শতাধিক পুকুর প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে মাছ। পৌরসভায় অপরিকল্পিত ড্রেনের পানির চাপে গড়াই নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। প্রায় ৩০টি পরিবার পুনরায় নদীভাঙনের মুখে পড়েছে।
বৃষ্টির পানির সঙ্গে ডোবা-নালা থেকে উঠে আসা সাপের উপদ্রবের সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। উপজেলা পরিষদের অফিসের পানি উঠে যাওয়ায উপজেলা ভূমি অফিস,সমাজসেবা অফিস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, খোকসা থানা কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও একাধিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অধিকাংশ বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। নিজেদের থাকা-খাওয়ার সমস্যাসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বেশিভাগ পরিবার।
পৌরসভার ড্রেনের পানির চাপে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহপাড়া গড়াই নদীর তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০ ফুট নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এতে নতুন করে নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে প্রায় ৩০ পরিবার। বিধবা আয়েশা খাতুন বলেন, ‘তার সব জমিই নদীতে চলে গেছে। ব্যাটারা বাঁধ দেওয়ার পর স্বামীর ভিটায় ঘর তুলে বসবাস করছিলেন। এবার আবার নতুন করে নদীভাঙনে তার রান্নাঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন তার ফসলিজমি এবং সবজি ক্ষেত ও অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। । এবারে আমার ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে।
খোকসা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেশমা খাতুন জানান পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪টি টিম কাজ করছে শীঘ্রই জলবদ্ধতা দুর করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
প্রিন্ট