ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়াল হেলে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ডেবে গেছে। যেকোনো মুহুর্তে বিদ্যুতিক খুঁটিসহ দেয়াল ধসে পড়তে পারে। ধসে পড়া দেয়ালের পাশ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, সেকমো, নার্স ও স্টাফরা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, ধসে পড়া দেয়াল সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে স্বাস্থ্য কমপেক্সে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সেকমো, নার্স ও এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ হাসপাতালের স্টাফরা তাদের স্কুলে পড়া ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঝুঁকি নিয়েই এ দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ্যাম্বুলেন্স চালক শহিদুল ইসলাম জানান, দুটি বাচ্চা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে, তারা ভোরে প্রাইভেট পড়তে যায়। কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টিতে আমাদের চলাচলের সড়কের পাশের দেয়াল ও বিদ্যুতিক খুঁটি ধসে পড়েছে। বিদ্যুতিক খুঁটি যে কোনো মুহুর্তে হেলে পড়তে পারে।আমাদের জীবনের শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেকমো জুয়েল রানা বলেন, ধসে পড়া দেয়ালের পাশ দিয়ে মেডিকেল অফিসার, নার্স ও স্টাফরা তাদের ছোট বাচ্চাসহ পরিবার নিয়ে চলাচল করে। বিদ্যুতিক খুঁটি যে কোনো মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে। আমরা খুবই শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছি।
মেডিকেল অফিসার আবিদ হোসেন বলেন, আমরা সবাই জীবনের শঙ্কা নিয়ে ধসে পড়া দেয়াল ও বিদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে সাবধানে চলাচল করছি। বিষয়টি আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ডা. তানজিন জাহান জিনিয়া জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা পল্লী বিদু্যুৎ সমিতির সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হোসেন ইভান বলেন, আমি খবর পেয়ে সোমবার সরেজমিন গিয়েছি। ধসে পড়া দেয়ালের সাথে বিদ্যুতের খুঁটি ধসে গেছে। পাশেই রয়েছে পুকুর এ জন্য কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুতের খুঁটি যাহাতে না হেলে পড়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রিন্ট