আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরিফ রাফিউজ্জামান বলেন, আজ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ঘোষণা অনুযায়ী গোপালগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামীকাল জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলা বিএনপির এই নেতা জানান, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী তাদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের মত প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অপরাজনীতি করে না।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, আজ গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদারের নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করতে আসেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবার ও বিএনপির নেতাদের সাথে কথা বলা হয়েছে। মামলার আবেদন পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। এছাড়াও ঐদিন কেন্দ্রীয় এ নেতাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপি সহ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষ্যে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাড়িবহর নিয়ে ঘোনাপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। গাড়িবহর টি ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।
পরে রাত ৮টার দিকে ঘোনাপাড়ার পাশে চরপাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ার এর কাছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখেছিল।
প্রিন্ট