ফরিদপুরের ভাঙ্গার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু খোকন মুন্সির অব্যাহত হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী দলিল উদ্দিন ঢালী জানান , দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে ভাঙ্গা বাজারে তারা ব্যবসা করে আসছিলেন। সম্প্রতি কুখ্যাত চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু ও হত্যা মামলার আসামি খোকন মুন্সি তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি বাজারের তাদের লীজকৃত জমি বিভিন্ন জাল কাগজপত্র বানিয়ে নিজের দাবি করে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
এসব ঘটনায় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ সময় আতাউর রহমান বাবু বলেন, ভাঙ্গা থানার ৫৫ নং সদরদী মৌজার এস এ খতিয়ান ২৯২ দাগ ৬৪১ যাহার বিএস খতিয়ান নং ১/১ বিএস ৩০৩ নং দাগের ১১.২৫ শতাংশ জমি VP ১৫০/৭৬-৭৭ নং কেশ মূলে বিগত ১৯৮০ সাল থেকে দলিলউদ্দিন ঢালী গং ভোগ দখল করে আসছেন।
আমরা ৬৪১ নং দাগের ১১.২৫ শতাংশের সম্পূর্ণ জমি গত ৪৫ বছর যাবত ডিসিআর প্রাপ্ত হইয়া মাটি ভরাটের অনুমতি কমে ঘর উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে গাছপালা লাগিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসিতেছে। পক্ষান্তরে খোকন মুন্সি বা তার পিতা সোহরাব মুন্সীর VP ৮৪/৭৪-৭৫ নং লীজ কেসের কোন অস্তিত্ব নাই এবং খোকন মুন্সি বা তার পিতার ১১.২৫ শতাংশ সামসুদ্দিন গং ওরফে দলিল উদ্দিন ঢালী গং VP ১৫০/৭৬-৭৭ নং লীজকৃত জমিতে কোন দখল ও ডিসিআর নাই।
তিনি বলেন, অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় সামসুদ্দিন গং ওরফে দলিল উদ্দিন ঢালী গং উক্ত জমি বিভাগীয় কমিশনারের আপিলের মাধ্যমে প্রকৃত লীজ গ্রহীতা দলিল উদ্দিন আলী গং প্রমাণিত হাওয়ায় খোকন মুন্সী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের জমি জবর দখল করার জন্য পায়তারা সহ মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ করে ভাঙ্গায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
এসময় বুলু মুন্সি বলেন, খোকন মুন্সি আমার ছেলের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছেন। আমার ছেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে পেশকার হিসেবে চাকরি করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয় বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ করেছেন যা মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি এর বিচার চাই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ শেখ, আখতারুজ্জামান, রুবেল খান, আব্দুর রহমান, আব্দুল হাকিম, বাবুল মোল্লা, কুদ্দুস, আকতার, রুবেল, শহীদ প্রমুখ।