ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন: সমন্বয়ক নুসরাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেছেন, ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের প্রতি সহিংসতা বিরুদ্ধে অন্তবর্তী সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কোনো কিছুর বিনিময়ে এগুলো মানা হবে না। চাঁদাবাজি-দখলদারি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিন। আপনার এলাকার নিরাপত্তা আপনি দেবেন। আমার কুষ্টিয়াতে যেন ভাঙচুর, রক্তপাত ও ধর্মীয় সহিংসতা না হয়।’

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সামনে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলায় যত অন্যায় কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে। অতি দ্রুত যেন প্রশাসন নজরে আনে। অপরাধীদের যেন আইনের আওতায় আনা যায়। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটু সময় দিন, আরও একটু স্ট্যাবিলিটি আসুক। ধীরে ধীরে জনগণও বুঝতে শিখবে, দলীয় ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বাদটা কেমন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ যদি লেজুরবৃত্তি না করে কেউ জনগণকে মাথানিচু করে রাখতে পারবে না। আপনারা নিজেরা আত্মসম্মানবোধটা বজায় রেখে আইনের সাহায্য নিন, প্রশাসনের কাছে যান। তদবির করে বা কোনো রাজনৈতিক নেতার দ্বারে যাবেন না। প্রশাসনের কাছে যান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যান। আপনারা যদি উনাদের ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেন, তাহলে উনারাও শক্তি ফিরে পাবেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যতদ্রুত সম্ভব জেলা সংস্কারের কাজে হাত দেবো।’

নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে আমরা ঐক্যমত হবো। রাষ্ট্রের কিছু কিছু সংস্কার খুবই প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমরা জনগণের কাছে এসেছি। আপনাদের কী কী পরামর্শ, আপনারা কী কী বলতে চান, সেটা শোনার জন্য, জানার জন্য এসেছি। আমরা আমাদের বক্তব্য শোনাতে আসিনি। হয়ত আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে যাবো।’

সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা বাগুয়ান গ্রামে। তারা বাবা আব্দুল হালিম উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। জ্যোতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ক, সহ সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এর আগে খুলনা বিভাগীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রথম দিন সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সমন্বয়ক প্রতিনিধিরা। এরপর জেলার সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিমিয় শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সমন্বয়ক প্রতিনিধিরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন: সমন্বয়ক নুসরাত

আপডেট টাইম : ০৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেছেন, ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের প্রতি সহিংসতা বিরুদ্ধে অন্তবর্তী সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কোনো কিছুর বিনিময়ে এগুলো মানা হবে না। চাঁদাবাজি-দখলদারি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিন। আপনার এলাকার নিরাপত্তা আপনি দেবেন। আমার কুষ্টিয়াতে যেন ভাঙচুর, রক্তপাত ও ধর্মীয় সহিংসতা না হয়।’

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সামনে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলায় যত অন্যায় কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে। অতি দ্রুত যেন প্রশাসন নজরে আনে। অপরাধীদের যেন আইনের আওতায় আনা যায়। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটু সময় দিন, আরও একটু স্ট্যাবিলিটি আসুক। ধীরে ধীরে জনগণও বুঝতে শিখবে, দলীয় ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বাদটা কেমন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ যদি লেজুরবৃত্তি না করে কেউ জনগণকে মাথানিচু করে রাখতে পারবে না। আপনারা নিজেরা আত্মসম্মানবোধটা বজায় রেখে আইনের সাহায্য নিন, প্রশাসনের কাছে যান। তদবির করে বা কোনো রাজনৈতিক নেতার দ্বারে যাবেন না। প্রশাসনের কাছে যান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যান। আপনারা যদি উনাদের ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেন, তাহলে উনারাও শক্তি ফিরে পাবেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যতদ্রুত সম্ভব জেলা সংস্কারের কাজে হাত দেবো।’

নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে আমরা ঐক্যমত হবো। রাষ্ট্রের কিছু কিছু সংস্কার খুবই প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমরা জনগণের কাছে এসেছি। আপনাদের কী কী পরামর্শ, আপনারা কী কী বলতে চান, সেটা শোনার জন্য, জানার জন্য এসেছি। আমরা আমাদের বক্তব্য শোনাতে আসিনি। হয়ত আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে যাবো।’

সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা বাগুয়ান গ্রামে। তারা বাবা আব্দুল হালিম উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। জ্যোতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ক, সহ সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এর আগে খুলনা বিভাগীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রথম দিন সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সমন্বয়ক প্রতিনিধিরা। এরপর জেলার সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিমিয় শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সমন্বয়ক প্রতিনিধিরা।


প্রিন্ট