ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঠাকুরগাঁওয়ের তৈরী পাপোশ জাপান-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকার আত্মপ্রত্যয়ী এক নারীর নাম রুফিনা হেমব্রম। ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে।একসময় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত তাঁদের।তবে সুতা ও ঝুট কাপড় দিয়ে পাপোশ তৈরির কাজ শেখার পর তাঁর সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। রুফিনা বাড়িতে গড়ে তুলেছে পাপোশ তৈরির কারখানা।

 

শুধু রুফিনা হেমব্রম নন, তাঁর মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র নারী এখন পাপোশ বানিয়ে সংসারের হাল ধরছেন।সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামে রুফিনা হেমব্রম বাড়িতে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নারী-পুরুষ পাপোশ তৈরির কারখানায় কাজ করছে।ভেতরে ঢুকতেই তাঁতের খটখটশব্দ।

 

কোনো কোনো নারী তাঁতে পাপোশ বুনছেন।কেউ পাপোশ ডিজাইন করছেন। কেউ আবার মেশিনে সুতা থেকে পাপোশের জন্য রশি বুনছেন। রুফিনা হেমব্রম বলেন, অভাব ঘোচাতে একটি সংস্থার মাধ্যমে পাপোশ তৈরির কাজ শেখেন। কয়েক মাস ধরে তিনি পাপোশ তৈরি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের উপার্জনে বর্তমানে সংসারের অভাব অনেকটা কেটেছে।

 

 

এদিকে একইভাবে পাপোশ তৈরির কাজে সম্পৃক্ত জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাদিহাট জোতপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম।শুধু নিজে নন, তাঁর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ওই গ্রামের কয়েক শ পরিবারের বেকার নারীরা।

এছাড়া পুরুষও কাজ করেন তাঁর কারখানায়।উদ্যোক্তা হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখায় জাতীয়ভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন ফাতেমা। ২০০৪ সালে শুরু করা ক্ষুদ্র এ শিল্পটি কালের পরিক্রমায় বর্তমান


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

ঠাকুরগাঁওয়ের তৈরী পাপোশ জাপান-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকার আত্মপ্রত্যয়ী এক নারীর নাম রুফিনা হেমব্রম। ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে।একসময় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত তাঁদের।তবে সুতা ও ঝুট কাপড় দিয়ে পাপোশ তৈরির কাজ শেখার পর তাঁর সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। রুফিনা বাড়িতে গড়ে তুলেছে পাপোশ তৈরির কারখানা।

 

শুধু রুফিনা হেমব্রম নন, তাঁর মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র নারী এখন পাপোশ বানিয়ে সংসারের হাল ধরছেন।সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামে রুফিনা হেমব্রম বাড়িতে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নারী-পুরুষ পাপোশ তৈরির কারখানায় কাজ করছে।ভেতরে ঢুকতেই তাঁতের খটখটশব্দ।

 

কোনো কোনো নারী তাঁতে পাপোশ বুনছেন।কেউ পাপোশ ডিজাইন করছেন। কেউ আবার মেশিনে সুতা থেকে পাপোশের জন্য রশি বুনছেন। রুফিনা হেমব্রম বলেন, অভাব ঘোচাতে একটি সংস্থার মাধ্যমে পাপোশ তৈরির কাজ শেখেন। কয়েক মাস ধরে তিনি পাপোশ তৈরি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের উপার্জনে বর্তমানে সংসারের অভাব অনেকটা কেটেছে।

 

 

এদিকে একইভাবে পাপোশ তৈরির কাজে সম্পৃক্ত জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাদিহাট জোতপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম।শুধু নিজে নন, তাঁর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ওই গ্রামের কয়েক শ পরিবারের বেকার নারীরা।

এছাড়া পুরুষও কাজ করেন তাঁর কারখানায়।উদ্যোক্তা হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখায় জাতীয়ভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন ফাতেমা। ২০০৪ সালে শুরু করা ক্ষুদ্র এ শিল্পটি কালের পরিক্রমায় বর্তমান


প্রিন্ট