ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জনতা জুট মিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

নরসিংদীর পলাশে জনতা জুট মিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করেন মিলটির কর্তৃপক্ষ। আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মিলের গেটে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল মিলটির শ্রমিকরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
মিলটিতে প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। পুনরায় চালু করার তারিখ ঘোষণা না করে মিলটি বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধের ঘোষণার পর মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সেখানে বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।
জনতা জুট মিলের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়। জনতা জুট মিলস লিমিটেডে গত ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারী দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভাঙচুরে লিপ্ত রয়েছে। তাতে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব উৎপাদন কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধকালীন দীর্ঘসূত্রতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকেরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শ্রমিককে জনতা জুট মিলে কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য গত, (৫ সেপ্টেম্বর) নরসিংদীর পলাশে বশির গ্রপের মালিকানাধীন জনতা জুট মিলটিতে রাত্রে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। তাদের যৌত্রিক দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক ও মিল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে। এতে মালিক পক্ষ দাবি মেনে নিতে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন শ্রমিকদের কাছে। আলোচনার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ মিলের ভিতরে দুর্বৃত্তরা ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এছাড়াও লুটপাটের দাবী করেন মিল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

জনতা জুট মিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :
নরসিংদীর পলাশে জনতা জুট মিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করেন মিলটির কর্তৃপক্ষ। আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মিলের গেটে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল মিলটির শ্রমিকরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
মিলটিতে প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। পুনরায় চালু করার তারিখ ঘোষণা না করে মিলটি বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধের ঘোষণার পর মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সেখানে বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।
জনতা জুট মিলের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়। জনতা জুট মিলস লিমিটেডে গত ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারী দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভাঙচুরে লিপ্ত রয়েছে। তাতে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব উৎপাদন কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধকালীন দীর্ঘসূত্রতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকেরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শ্রমিককে জনতা জুট মিলে কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য গত, (৫ সেপ্টেম্বর) নরসিংদীর পলাশে বশির গ্রপের মালিকানাধীন জনতা জুট মিলটিতে রাত্রে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। তাদের যৌত্রিক দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক ও মিল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে। এতে মালিক পক্ষ দাবি মেনে নিতে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন শ্রমিকদের কাছে। আলোচনার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ মিলের ভিতরে দুর্বৃত্তরা ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এছাড়াও লুটপাটের দাবী করেন মিল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

প্রিন্ট