ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দেখার কি কেউ নেই?

আইন অমান্য করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইটের ভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার মণ কাঠ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইটের ভাটায় পোড়ানোর জন্য পরতে পরতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কাঠ। ছবি- জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ।

আইন অমান্য করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইটের ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দেখার কেউ নেই, হাজার হাজার মণ কাঠ পাহাড়ের মত উঁচু করে রেখে একে একে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ২২টির মত ইটভাটা, এর মধ্যে ৪টি ইটভাটায় ড্রাম চিমনি রয়েছে, বাকিগুলো ফিক্সড চিমনির।  শৈলকুপায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়নি কোনো ইটভাটা।

এসব ভাটায় প্রতিদিন আনুমানিক দেড় হাজার মণ কাঠ পুড়বে বলে জানা গেছে। সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়,ইট ভাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় কাঠ পোড়ানোর প্রতিযোগীতায় নেমেছে ভ্টাা মালিকরা। উপজেলার প্রতিটি ভাটায় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে। এভাবে প্রতিদিন কাঠ পুড়তে থাকলে পরিবেশের উপর মারাত্বক পভাব পড়বে জেনেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা উদাসীন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে কিভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ভাটা মালিক আঃ মান্নান জানান, একটি ভাটায় জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ ব্যবহার হয়ে থাকে। তার ভাটায় প্রতিদিন ২০০ মণ কাঠ লাগে। তবে কয়লা দিয়েও ইট পোড়ান বলে জানান তিনি।

হাটফাজিলপুর এলাকার এক ইটভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার ভাটায় প্রতিদিন ৩০০ মণ জলানি কাঠ লাগে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, সব ভাটাতে কাঁচা ইট পোড়ানোর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে হাজার হাজার মণ কাঠ।

ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, ভাটায় কাঁচা ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জিকজার ভাঁটা ছাড়া সরকারিভাবে কোন ভাটার অনুমোদন দেওয়া হয় না।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সাল থেকে জিকজার ভাঁটা ছাড়া ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফিট লম্বা ফিক্সড চিমনির ভাঁটা অবৈধ।

এব্যাপারে শৈলকুপার এসি ল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল বলেন এভাবে কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ বে-আইনী। হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে অবশ্যই ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দেখার কি কেউ নেই?

আইন অমান্য করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইটের ভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার মণ কাঠ

আপডেট টাইম : ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

আইন অমান্য করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইটের ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দেখার কেউ নেই, হাজার হাজার মণ কাঠ পাহাড়ের মত উঁচু করে রেখে একে একে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ২২টির মত ইটভাটা, এর মধ্যে ৪টি ইটভাটায় ড্রাম চিমনি রয়েছে, বাকিগুলো ফিক্সড চিমনির।  শৈলকুপায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়নি কোনো ইটভাটা।

এসব ভাটায় প্রতিদিন আনুমানিক দেড় হাজার মণ কাঠ পুড়বে বলে জানা গেছে। সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়,ইট ভাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় কাঠ পোড়ানোর প্রতিযোগীতায় নেমেছে ভ্টাা মালিকরা। উপজেলার প্রতিটি ভাটায় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে। এভাবে প্রতিদিন কাঠ পুড়তে থাকলে পরিবেশের উপর মারাত্বক পভাব পড়বে জেনেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা উদাসীন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে কিভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ভাটা মালিক আঃ মান্নান জানান, একটি ভাটায় জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ ব্যবহার হয়ে থাকে। তার ভাটায় প্রতিদিন ২০০ মণ কাঠ লাগে। তবে কয়লা দিয়েও ইট পোড়ান বলে জানান তিনি।

হাটফাজিলপুর এলাকার এক ইটভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার ভাটায় প্রতিদিন ৩০০ মণ জলানি কাঠ লাগে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, সব ভাটাতে কাঁচা ইট পোড়ানোর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে হাজার হাজার মণ কাঠ।

ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, ভাটায় কাঁচা ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জিকজার ভাঁটা ছাড়া সরকারিভাবে কোন ভাটার অনুমোদন দেওয়া হয় না।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সাল থেকে জিকজার ভাঁটা ছাড়া ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফিট লম্বা ফিক্সড চিমনির ভাঁটা অবৈধ।

এব্যাপারে শৈলকুপার এসি ল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল বলেন এভাবে কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ বে-আইনী। হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে অবশ্যই ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট