শুক্রবার ভোরে ভ্যান চালক বদিয়ার বেপারী আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে গরুর মাংসের দোকানে ভিড় দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় গরুর মাংস
৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি দোকানির কাছ থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে এক কেজি মাংস ক্রয় করে নিলেন। আগের থেকে দাম কম
হওয়াতে তিনি এক কেজি মাংস কিনেছেন বলে জানান।
বাড়িতে মেহমান আসায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম থেকে রবিউল এসেছেন আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে গরুর মাংস কিনতে।
মাংস বিক্রেতার কাছে জিজ্ঞেস করলেন মাংসের কেজি কত? তাকে জানানো হলো ৬০০ টাকা কেজি। তিনি প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে চায়নি। পরক্ষণে বলল এটা গাভীর মাংস। দোকানি জবাব দেয় এটা গরুর মাংস আমরা কিছু দিন হলো ৬০০ টাকা করে মাংস বিক্রি করছি। দুই কেজি মাংস নিয়ে তিনি হাসি মুখে টাকা দিয়ে বিদায় নেন।
আলফাডাঙ্গা মিঠাপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী মোহাম্মাদ আলী এসেছেন মাংস কিনতে তিন দোকান ঘুরে দেখলেন প্রত্যকটি দোকানে ৬০০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির মাংস কেনার মনস্থির করে দাম কম থাকায় তিন কেজি মাংস
ক্রয় করতে দেখা যায়।
সপ্তাহে অন্য দিন থেকে শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় প্রায় প্রত্যকটি দোকানে গরু জবাই করা হয়। ছুটির দিনে বেঁচা বিক্রি হয় অন্য দিন থেকে বেশি। আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে ৬০০ টাকা করে গরুর মাংস ক্রয় করতে পেরে অনেকেই খুশি। এতে নিন্ম শ্রেণির অনেক মানুষ গরুর মাংসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে। আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে উপজেলার অন্য বাজারেও ৬০০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ পূর্বে যেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা।
আলফাডাঙ্গা একাধিক গরুর মাংস বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান গরুর বাজার দর একটু কম তাই ক্রেতাদের কম দামে গরুর
মাংস খাওয়াতে পারছেন তারা। তবে এসে তাদের তেমন লাভ হচ্ছে না খরচ বেঁচে যাচ্ছে। তবে কিছু বিক্রেতা বলেছেন কিছু হলো কুরবানি শেষ হয়েছে
অনেকের ফ্রিজে এখনও গরুর মাংস মজুদ রয়েছে এজন্য বেঁচাবিক্রি তেমন নেই। তাই বাধ্য হয়ে গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকা করেছি। কিছু দিন পরই বৃদ্ধি হতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের মিম গোস্তের ভান্ডারের মালিক ইয়াছিন মোল্যা জানান, আজকে শুক্রবার ১০ মণের একটি এড়ে গরু জবাই করেছি। ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করছি। আলহামদুল্লিাহ, খরচ উঠলেই হলো। সে বলল শুধু আলফাডাঙ্গাতে ৬০০ টাকা করে আমরা প্রথম গরুর মাংস বিক্রি করছি অল্প কিছু দিন ধরে। বর্তমান গরু একটু কম দামে ক্রয় করতে পেরেছি বলে বিক্রি করতে পারছি। লাভের কথা চিন্তা করছি না।
মায়ের দোয়া গোস্তা ভান্ডারের মালিক মো.শাকিল শেখ জানান, খুব ভোরে গরু জবাই করে এনেছি এখন সকাল সাড়ে সাতটা বাজে আমার দোকানের মাংস শেষ হয়ে গেছে। লাভ কম হোক ৬০০ টাকায় মাংস কিনতে পেরে অনেকেই খুশি, অনেক নিন্ম আয়ের মানুষও গরুর মাংস ক্রয় করছে, এতেই আমরা খুশি। যদি গরুর দাম সহনীয় থাকে থাকে তাহলে আমরাও দাম বৃদ্ধি কররো না।
উপজেলার হেলেঞ্চা বাজারের মাংস বিক্রেতা লায়েক জানান, মাংস বিক্রি করতাম অনেক বেশি দরে। সদর বাজারের সাথে মিল রেখে আমাদের এখন ৬০০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি। যাহার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে মাংস শেষ হয়ে গেছে।
প্রিন্ট