বরগুনার আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা ও মাজার রোড এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে গত কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষনে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে বসবাসরতর।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ৩ নং ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতায় বাসিন্ধাদের বসতঘরগুলো তলিয়ে গেছে।
৩ নং ওযার্ডের স্বপন মেম্বার এর বাসা হয়ে কবর স্থান সড়ক. বাবুল প্যাদার বাসা হয়ে পানির ট্যাংকি রোড, ঈসমাইল শাহ মাজারের পূর্ব পাশ , মাজার রোডের দক্ষিন পাশ ও পানির ট্যাংকি সলগ্ন পূর্বপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় । বসবাসরতরা বাসাবাড়ি থেকে বের হতে পারেনা।
আমতলী পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ড মাজার রোড এলাকার বাসিন্ধা আ. সালাম বলেন, আমাদের বসত ঘরের চারদিকে বৃষ্টির পানি জমে থই-থই করছে। রাস্তায় উঠতে হলে ভিজে ও জুতা হাতে নিয়ে উঠতে হয়।
ভুক্তভোগি বাবুল প্যাদা বলেন , একটু বৃষ্টি হলেই আমার বাসার সামনের রোড তলিয়ে বাসা বাড়িতে পানি উঠে যায়। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করতে হয়।
অপর ভুক্তভোগি তিঠু বলেন বর্ষাকাল আসলেই আমাদের দুর্ভোগের কোন শেষ থাকেনা। একটু বৃষ্টি হলেই বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়।
আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মো. লিমন মৃধা বলেন, ৩ নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের ভোগান্তির কোন শেষ নাই। সামন্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় । আমি এ বছর কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। পৌর প্রশাসক মহােদ্বয়ের সাথে আলোচনা করে জলাবদ্ধতা থেকে ৩ নং ওর্য়াড বাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শুভ্রা দাস মুঠোফোনে বলেন. ৩ নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রকল্প প্রস্ততের কাজ চলমান রয়েছে । শীঘ্রই জলাবদ্ধতা থেকে ৩ নং ওযার্ডের জনগনের সুন্দও ভাবে চলাচল ও বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট