নোয়াখালী ৬ (হাতিয়া) আসনের তিন তিনবারের দলীয় ও স্বতন্ত্র নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য হাতিয়া উপজেলা বি এন পির উপদেষ্ঠা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী জাতীয় রাজনীতিবিদ ও আজিম গ্রপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বলেছেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত তিনি হাতিয়াবাসীর সঙ্গে থাকবেন। হাতিয়ার মানুষ শান্তি প্রিয়। শান্তির জনপথ হাতিয়াকে অশান্ত করতে দেওয়া হবেনা।
সন্ত্রাসী চাদাবাজ অস্ত্রবাজ এবং মাদক নির্মুল করতে আইন শৃংখলা বাহীনিকে সর্বত্মক সহযোগিতা করতে হাতিয়াবাসীর প্রতি আহবান জানান। এ ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা বলে উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করেন।
তিনি আরো বলে,আমি হাতিয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি কারন হাতিয়ার নাম আজ শুধু বাংলাদেশে-ই নয় বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত রাষ্টের মানুষের মুখে মুখে ও হাতিয়ার নাম উচ্চারিত হয়। দেশের উন্নয়নের অনেক কাজ এখনো বাকী। আধুনিক সুবিধা বঞ্চিত হাতিয়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে অনেক কাজ করতে হবে। হাতিয়ার উন্নয়ন ও অসম্পুর্ন কাজ করতে তাকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। এক্ষেত্রে হাতিয়াবাসীকে অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে প্রত্যেক মানুষকে সৎ কর্তব্যপ্ররায়ন ও দেশ প্রেমিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
গত কয়েক বছর এলাকায় আসতে পারেননি উল্লেখ করে বলেন,যদিও এলাকায় আসতে পারিনি কিন্তু এক মিনিটের জন্যও হাতিয়ার মাটি ও মানুষের কথা ভুলিনি। মুঠো ফোনে প্রতি দিন প্রতিটি এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের খোজ খবর নিয়েছি এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। রবিবার বিকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে হাতিয়ার নিজ বাড়ী পৌর সদরের ওছখালীতে পৌছানোর পর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার মাঠে উপস্থিত সর্বস্তরের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক ও জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা বি এন পির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মোঃ আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ফজলুল আজিমের সহধর্মীনী বেগম শামীমা আজিম,পৌর বি এন পির সাবেক সভাপতি কাজী মাওলানা আব্দুর রহিম,উপজেলা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল উদ্দিন রাশেদ,সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বি এন পির সাধারনসম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন আলো,উপজেলা বি এন পির সহ সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী,মাষ্টার সোলাইমান মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ আজাদ প্রমুখ। দীর্ঘ একযুগ পর প্রকাশ্যে করা এটি হাতিয়ায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্দ্যেগে করা বড় কোন জনসভা। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা।
এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা হাতিয়ার তমরদ্দি, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে উপস্থিত হন। একসময় মানুষের এই সমাগম সভাস্থল থেকে প্রধান সড়ক উপজেলার মোড় পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এসময় জাহাজমারা-নলচিরা সড়কে চলাচলকারী গনপরিবহনকে বিকল্প সড়কে চলাচল করতে দেখা যায়। হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক সংসদ ফজলুল আজিম হাতিয়াতে এটিই প্রথম আসা। এর আগে তিনি সবশেষ ২০২২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে এলেও নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন। এদিগে ২০১৯ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও তার বাসভবনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী হলেও নির্বাচনের দিন ও আগে পরে বাসা থেকে বের হতে পারেন নি। এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচীত হন।
আলোচনা সভা শেষে বি এন পির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্বার মাগফেরাত কামনা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তিনি হাতিয়া পৌরসদরে নিজ বাসবভনে সর্বস্তরের জনতার সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে তিনি দুপুর ৩ টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে হাতিয়ায় পৌছান। এসময় বি এন পির কর্মী সমর্থক ও সর্বস্তরের হাজার হাজার জনগন তাকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড মাঠে ভীড় জমান।
প্রিন্ট