ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo চাকুরিচ্যুত বিডিআর’দের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পালিত Logo নগরকান্দায় বাস – ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২, আহত ২০ Logo তানোরে শহীদ মিনারে জুতা পাঁয়ে মাদরাসা সুপার Logo মোহনপুরে তারুণ্যের উৎসবে ২০২৫ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন Logo মধুখালীতে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ায় নব পাঠদান ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তানোরে আহম্মদ চ্যারিটি সেন্টারের শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান Logo রাজশাহীতে শীতার্ত দু:স্থ অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি’র মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ফরিদপুরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাচোলে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নাচোলে ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার বিক্রিতে চলছে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে কৃষকদের চড়া দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ডিএপি সার। কৃষকেরা জানান, উপজেলায় সারের সংকট না থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন একশ্রেণীর ডিলার। ডিএপি বস্তাপ্রতি সরকারি মূল্য এক হাজার পঞ্চাশ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও ডিলাররা কৃষকের কাছে নিচ্ছেন বস্তাপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেশি। ভরা আমন মৌসুমে ডিএপি সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার পৌর এলাকার বিসিআইসি সার ডিলার জামিরুল ট্রেডার্সে ডিএপি সার ক্রয় করতে আসেন খেসবা গ্রামের কৃষক রফিকুল আলম। প্রথমে সার ডিলার ওই কৃষককে জানান ডিএপি সার নেই। পরে কৃষক রফিকুল ২ বস্তা ডিএপি সার নিলে বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা বেশি নেন সার ডিলার। ২ বস্তা ডিএপি সারে কৃষক রফিকুলকে বেশি দিতে হয় প্রায় ৮০০ টাকা।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সার ডিলাররা প্রথমে বলেন সার নেই, কিন্তু বেশি দাম দিলেই মিলছে সার। ডিএপি সারের দাম ১০৫০ টাকা সরকারি দাম থাকলেও নিচ্ছেন বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। স্লিপে সরকারি রেট লিখছে ঠিকই, কিন্তু দাম নিচ্ছে বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুমে ডিএপি সার নিয়ে চলছে লুটপাট। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ ডিলার বাইরে থেকে রশিদ বিহীন নিম্নমাণের সার নিয়ে এসে তা চড়া দামে বিক্রি করছে কৃষকদের কাছে। উপজেলার কৃষকদের দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই সারের দাম বেশি নিচ্ছে ডিলাররা।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুন নূর বলেন, নাচোল উপজেলায় আগস্ট মাসে ডিএপি সারের বরাদ্দ ছিল ৫০৪ টন। ওই সার ডিলারদের দোকানে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বসিয়ে রেখে নায্যমূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে । সারের সংকট নেই তবে বাইরে থেকে কিছু ডিলার ডিএপি সার সরবাহ করছে। সারের দাম বেশি নিলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।৳


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

নাচোলে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নাচোলে ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার বিক্রিতে চলছে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে কৃষকদের চড়া দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ডিএপি সার। কৃষকেরা জানান, উপজেলায় সারের সংকট না থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন একশ্রেণীর ডিলার। ডিএপি বস্তাপ্রতি সরকারি মূল্য এক হাজার পঞ্চাশ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও ডিলাররা কৃষকের কাছে নিচ্ছেন বস্তাপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেশি। ভরা আমন মৌসুমে ডিএপি সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার পৌর এলাকার বিসিআইসি সার ডিলার জামিরুল ট্রেডার্সে ডিএপি সার ক্রয় করতে আসেন খেসবা গ্রামের কৃষক রফিকুল আলম। প্রথমে সার ডিলার ওই কৃষককে জানান ডিএপি সার নেই। পরে কৃষক রফিকুল ২ বস্তা ডিএপি সার নিলে বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা বেশি নেন সার ডিলার। ২ বস্তা ডিএপি সারে কৃষক রফিকুলকে বেশি দিতে হয় প্রায় ৮০০ টাকা।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সার ডিলাররা প্রথমে বলেন সার নেই, কিন্তু বেশি দাম দিলেই মিলছে সার। ডিএপি সারের দাম ১০৫০ টাকা সরকারি দাম থাকলেও নিচ্ছেন বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। স্লিপে সরকারি রেট লিখছে ঠিকই, কিন্তু দাম নিচ্ছে বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুমে ডিএপি সার নিয়ে চলছে লুটপাট। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ ডিলার বাইরে থেকে রশিদ বিহীন নিম্নমাণের সার নিয়ে এসে তা চড়া দামে বিক্রি করছে কৃষকদের কাছে। উপজেলার কৃষকদের দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই সারের দাম বেশি নিচ্ছে ডিলাররা।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুন নূর বলেন, নাচোল উপজেলায় আগস্ট মাসে ডিএপি সারের বরাদ্দ ছিল ৫০৪ টন। ওই সার ডিলারদের দোকানে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বসিয়ে রেখে নায্যমূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে । সারের সংকট নেই তবে বাইরে থেকে কিছু ডিলার ডিএপি সার সরবাহ করছে। সারের দাম বেশি নিলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।৳


প্রিন্ট