নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসার শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করা, মাদ্রাসার সামনের জমিতে দোকান করে পছন্দের লোকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া, স্থাবর সম্পত্তি লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার গোবিন্দপুর ইছাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এবং সুপারের বিরুদ্ধে।
সংঘঠিত অনিয়মের প্রতিকার এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা এবং সুপার আইয়ুব হোসেন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাদ্রাসার প্রায় ২০ বছর বয়সি শতাধিক মেহগনী গাছ কেটে বিক্রি করেছেন, মাদ্রাসার সামনে প্রায় ৪০-৫০ টি দোকান ঘর তৈরি করে নিজেদের পছন্দ মত লোকদের মধ্যে বরাদ্দ ও স্থাবর সম্পত্তি লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাত, তাদের পছন্দের এবং অযোগ্য প্রার্থীদেরকে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে সমুদয় অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাৎসহ নান অপকর্ম নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রতিষ্ঠানটির সুপার আইয়ুব হোসেন জানান গত রমজান মাসের রাতের আঁধারে কারা গাছ কেটে নিয়ে নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা আইনের সহায়তা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এবং তার চাপেই তিনি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এই অনিয়মের দায় অপকটে স্বীকারও করেন এ প্রতিষ্ঠান প্রদান।
প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লার নিকট মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় বলেও জানান তিনি।
প্রিন্ট