ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত Logo হাতিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার Logo তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ Logo ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে নড়াইলে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo সদরপুরে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি প্রকাশ্যে, পুলিশ খুঁজে পাচ্ছেনা! Logo নড়াইলে উন্নত জাতের করলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo বন্যায় ঘর হারাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে হুয়াওয়ে Logo অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন, ভ্রাম্যমান অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারা পদ্মাপাড়ে হঠাৎ কুমির আতঙ্ক

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা চরে দেখা দিয়েছে কুমির আতঙ্ক। রাতের আঁধারে নদী থেকে তীরবর্তী লোকালয়ে কুমির ওঠে আসায় আতঙ্কে আছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে ও কৃষকরা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম।

মুন্সীপাড়ার বাসিন্দা টিক্কা মুন্সী জানান, তার বাড়ির সামনে পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে রাতে একাধিক কুমির দেখা গেছে। কুমিরগুলো প্রায় ১০ ফুট লম্বা।

 

জানা যায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির পর বেশ কয়েকদিন থেকেই কুমিরের আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে এলাকাবাসী কখনো কুমির দেখেনি। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দলবেঁধে কয়েকটা কুমির নদীর কিনারা থেকে উপরে ওঠে আসছে। মানুষ বা আলোর উপস্থিতি টের পেলে আবার নদীতে নেমে যাচ্ছে। কুমিরের একটা ছোট ঝাঁক নদীতে এসেছে বলে এলাকাবাসী ধারণা।

 

স্থানীয়রা জানান, কুমিরগুলো সাধারণত দিনে নদীতে আর রাতের আঁধারে উপরে ওঠে আসে। এই কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। যারা নদীতে গোসল করে তারাও গোসল করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আরো দুশ্চিন্তার বিষয় হলো কৃষকরা নদীতে পাট জাগ দিতে পারছেন না। আর জাগ দেওয়া হলেও সেটা তুলতে পারছেন না। তবে এর আগে কখনো নদীতে কুমির দেখা যায়নি।

 

জেলে আশরাফুল প্রামাণিক বলছিলেন, কুমিরের ভয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও ৯৯৯ এ ফোন দিয়েও সুরাহা পাইনি। ১০ দিন হলো নদীতে নামতে পারিনি। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

 

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, নদীতে পাট জাগ দিয়েছি। পাট বিনিয়ে শুকাতে দেব। কুমিরের ভয়ে কেউ নামতে সাহস পাচ্ছে না। এদিকে পদ্মা নদী সংলগ্ন সাহেবনগর গ্রামেও কুমিরসহ কুমিরের বাচ্চার দেখা মিলেছে। এ নিয়ে সেখানেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা নির্বাহ করে নদীকেন্দ্রিক। নদীতে কুমির থাকায় প্রত্যাহিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

 

 

বন বিভাগের ভেড়ামারা রেঞ্জের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পানির সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও এসে থাকতে পারে। শুধু ভেড়ামারা নয় দৌলতপুর, মিরপুরের পদ্মা নদীর তীরেও কুমিরের দেখা মিলেছে। নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও চলে যাবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

ভেড়ামারা পদ্মাপাড়ে হঠাৎ কুমির আতঙ্ক

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
ইস্রাফিল হােসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা চরে দেখা দিয়েছে কুমির আতঙ্ক। রাতের আঁধারে নদী থেকে তীরবর্তী লোকালয়ে কুমির ওঠে আসায় আতঙ্কে আছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে ও কৃষকরা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম।

মুন্সীপাড়ার বাসিন্দা টিক্কা মুন্সী জানান, তার বাড়ির সামনে পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে রাতে একাধিক কুমির দেখা গেছে। কুমিরগুলো প্রায় ১০ ফুট লম্বা।

 

জানা যায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির পর বেশ কয়েকদিন থেকেই কুমিরের আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে এলাকাবাসী কখনো কুমির দেখেনি। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দলবেঁধে কয়েকটা কুমির নদীর কিনারা থেকে উপরে ওঠে আসছে। মানুষ বা আলোর উপস্থিতি টের পেলে আবার নদীতে নেমে যাচ্ছে। কুমিরের একটা ছোট ঝাঁক নদীতে এসেছে বলে এলাকাবাসী ধারণা।

 

স্থানীয়রা জানান, কুমিরগুলো সাধারণত দিনে নদীতে আর রাতের আঁধারে উপরে ওঠে আসে। এই কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। যারা নদীতে গোসল করে তারাও গোসল করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আরো দুশ্চিন্তার বিষয় হলো কৃষকরা নদীতে পাট জাগ দিতে পারছেন না। আর জাগ দেওয়া হলেও সেটা তুলতে পারছেন না। তবে এর আগে কখনো নদীতে কুমির দেখা যায়নি।

 

জেলে আশরাফুল প্রামাণিক বলছিলেন, কুমিরের ভয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও ৯৯৯ এ ফোন দিয়েও সুরাহা পাইনি। ১০ দিন হলো নদীতে নামতে পারিনি। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

 

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, নদীতে পাট জাগ দিয়েছি। পাট বিনিয়ে শুকাতে দেব। কুমিরের ভয়ে কেউ নামতে সাহস পাচ্ছে না। এদিকে পদ্মা নদী সংলগ্ন সাহেবনগর গ্রামেও কুমিরসহ কুমিরের বাচ্চার দেখা মিলেছে। এ নিয়ে সেখানেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা নির্বাহ করে নদীকেন্দ্রিক। নদীতে কুমির থাকায় প্রত্যাহিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

 

 

বন বিভাগের ভেড়ামারা রেঞ্জের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পানির সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও এসে থাকতে পারে। শুধু ভেড়ামারা নয় দৌলতপুর, মিরপুরের পদ্মা নদীর তীরেও কুমিরের দেখা মিলেছে। নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও চলে যাবে।