রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপণে রয়েছে এখানো প্রকাশ্যে তাদের দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিস্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যে, খাস পুকুর বানিজ্যে, খাদ্যগুদাম সিন্ডিকেট গভীর নলকুপ অপারেটর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে কমিশন আদায় ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল বিত্তবৈভব ও সম্পদ অর্জন করেছেন তারা এখানো লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়েছে।
জানা গেছে ,দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও কালোটাকা উদ্ধারে শিগগিরই যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই মধ্যে অভিযান পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মন্ত্রণালয় ও জেলাভিত্তিক টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযানের ছক করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারের পরপরই এসব নেতাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। এরপরই আত্মগোপনে চলে গেছেন সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগপন্থী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় পদধারী দাপুটে নেতা ।লম্বা সময় ধরে এলাকায় প্রভাবশালী হিসাবে পরিচিত দলটির স্থানীয় নেতারাও প্রকাশ্যে নেই। বেগতিক অবস্থা টের পেয়ে সরকার পতনের আগে ও পরে দেশ ছাড়ার সুযোগও নিয়েছেন অনেকেই।
সুত্র জানায়, পলাতকদের ধরতেই অভিযানের ছক চূড়ান্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে সাবেক সচিব শাহ কামালের বাসা থেকে ৩ কোটি টাকা উদ্ধারের পর দুর্নীতিবাজ ও কালোটাকা মালিকদের মধ্যে অভিযান আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে এলাকায় আলোচনা রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বরে জানা গেছে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে কালো টাকার মালিক হয়েছেন উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ছাঐড় গ্রামের মুন্জিলার পুত্র মাহামুদুর রহমান মাহাম। তিনি অনলাইন ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আত্মগোপণ করেছে। অন্যদিকে কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু কামারগাঁ সরকারি খাদ্যগুদামে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা বারঘরিয়া গ্রামের জনৈক মাসুদ করিম আদম ব্যবসা করে শূণ্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। তিনি কনাডায় লোক পাঠানোর নামে অনেকের কাছে থেকে টাকা নিলেও কাউকে কানাডা পাঠাতে পারেননি। এমনকি বিদেশে ভাল কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে লোক পাঠিয়ে প্রতারণা করে টাকার কুমির হয়েছেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। অন্যদিকে ছাঐড় গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান।
গত ১৫ বছরে গভীর নলকুপের অপারেটর হয়ে কৃষকদের জিম্মি করে কোটিপতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এদের আয়ের উৎস্য ও সম্পদের অনুসন্ধান করা হলে সত্যতা পাওয়া যাবে। সচেতন মহল এদের আয়ের উৎস্য ও সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ করিম ও মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোনো অবৈধ সম্পদ নাই,তারা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাদের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে।#
প্রিন্ট